বিপুল গাঁজা উদ্ধার বর্ধমান, গ্রেফতার পাচারকারীরাও

ফের বমাল-সহ গাঁজা উদ্ধার করল পুলিশ। আগেভাগেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো বর্ধমান থানার পুলিশ বর্ধমান-আরামবাগ রোডের সদরঘাটের কৃষকসেতুর কাছে ওত পেতে বসেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ২৩:৪০

—প্রতীকী চিত্র।

ফের বমাল-সহ গাঁজা উদ্ধার করল পুলিশ। আগেভাগেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো বর্ধমান থানার পুলিশ বর্ধমান-আরামবাগ রোডের সদরঘাটের কৃষকসেতুর কাছে ওত পেতে বসেছিল। সেতুর আশপাশে গাঁজা ভর্তি ব্যাগগুলি হাতবদল হওয়ার খবর ছিল পুলিশের কাছে ।

Advertisement

জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, ধৃত দু’জনের কাছ থেকে ব্যাগ ও সুটকেস মিলিয়ে চারটি ব্যাগ থেকে মোট ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিলেন ধৃতেরা। ধৃত দু’জনের নাম ধীরেন্দ্র সাউ এবং বাপি সাউ। ধীরেন্দ্রের বাড়ি বীরভূমের বোলপুরে। বাপীর বাড়ি বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠে। শুক্রবার ধৃত দু’জনকে আদালতে তোলা হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজু সাউ বলেন, ‘‘পুলিশ দু’জনকে তাড়া করে ধরেছে সেতুর কাছ থেকে।’’

গত ১২ অগস্ট নীল বাতি লাগানো গাড়িতে বিপুল পরিমাণে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েন দুই পাচারকারী। ওড়িষ্যা থেকে আনা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। ১০০ কেজি গাঁজা ও নীলবাতি লাগানো গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে বর্ধমান থানার পুলিশ। নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ধৃতেরা। গাঁজার আনুমানিক মূল্য ১২ লক্ষ টাকা।

পাশাপাশি ১১ অগস্ট পালসিট টোলপ্লাজা থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি ৫০ কেজি গাঁজা। চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা ছিলেন। অর্থাৎ মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ তিনবার গাঁজা উদ্ধার করল। ধরা পড়লেন পাচারকারীরাও।

Advertisement
আরও পড়ুন