হাসপাতালের মহিলা কর্মীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মানকর গ্রামীণ হাসপাতালের কোয়ার্টারে ঢুকে ওই হাসপাতালেরই এক গ্রুপ ডি মহিলা কর্মীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, তাঁকে কোপ মেরেছেন দু’জন। গুরুতর আহত হয়েছেন দীপ্তিকণা চৌধুরী নামে ওই মহিলা। প্রথমে তাঁকে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে দীপ্তিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতের স্বামীর দাবি, চুরি করতে এসেই বাধা পেয়ে হামলা চালিয়েছেন দু’জন।
ঘটনায় আতঙ্কিত হাসপাতালের কর্মী, নার্স ও চিকিৎসকেরা। এই ঘটনার পরে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বুদবুদ থানার পুলিশ। হাসপাতালের সুপার অনিরুদ্ধ ইসলাম জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাবেন। ঘটনার পর থেকেই দুই অভিযুক্তের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে বুদবুদ থানার পুলিশ। অন্য দিকে, হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
কেন ওই মহিলাকে কোপ মারা হয়েছে, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। দীপ্তিকণার স্বামী উত্তম চৌধুরী জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে তিনি কোয়ার্টারে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী একা ছিলেন। তখনই এই হামলা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘শুক্রবার দুপুরে দুই দুষ্কৃতী হাসপাতালের পিছনের দিকে আবাসনের দোতলার কোয়ার্টারে ঢোকে। স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি করার জন্যই এসেছিল তারা। কিন্তু আমার স্ত্রী বাধা দেওয়ায় হামলা চালায়।’’