Ganja smuggling

পুলিশের জালে ওড়িশা থেকে বীরভূমে গাঁজা পাচারের চক্র, বর্ধমানে উদ্ধার ৫০ কেজি গাঁজা, ধৃত চার

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, চারচাকা গাড়িতে করে ভিন্‌ রাজ্য থেকে বীরভূমের দিকে গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গাড়িটি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাবে বলে জানতে পারে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেমারি শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৪ ১১:৪১

—প্রতীকী চিত্র।

পুলিশের জালের ধরা পড়ল ওড়িশা থেকে বীরভূমে গাঁজা পাচারের চক্র। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকার পালসিট টোলপ্লাজ়ার কাছ থেকে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি ৫০ কেজি গাঁজা। পুলিশ সূত্রে খবর, গাঁজার কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বৃদ্ধা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম বেলা দাস, অসীম সরকার, ওমপ্রকাশ প্রসাদ ও রাজেশ খটিক। বীরভূমের বোলপুর থানার খাদিপাড়ায় বেলার বাড়ি। রাজেশের বাড়ি বোলপুরেরই হাটতলায়। অসীম অবশ্য বর্ধমান থানার কাঁটাপুকুরে থাকেন। ওমপ্রকাশের বাড়ি বর্ধমান থানারই বাজেপ্রতাপপুরের নতুনপুকুর এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, চারচাকা গাড়িতে করে ভিন্‌ রাজ্য থেকে বীরভূমের দিকে গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গাড়িটি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাবে বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই মতো শনিবার রাতে পালসিট টোলপ্লাজ়ায় নাকা চেকিং শুরু করা হয়। রাত ২টো ১৫ নাগাদ গাড়িটি টোলপ্লাজ়ার কাছে পৌঁছলেই গাড়িটিকে আটকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিতে গাড়ি থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে গাঁজা এনে তা বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এ কথা জানা গিয়েছে। চার জন দীর্ঘ দিন ধরেই গাঁজার কারবারে জড়িত বলে জেনেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। আরও গাঁজা উদ্ধারের জন্য ও কারবারে জড়িত বাকিদের হদিস পেতে অসীম, ওমপ্রকাশ ও রাজেশকে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ধৃতদের মাদক সংক্রান্ত আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। সেখানেই পুলিশি হেফাজতের আবেদনের শুনানি হবে। গাঁজার আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement