Train Fire

হঠাৎই গুয়াহাটি-কলকাতা এক্সপ্রেসে আগুন, এসি কামরা থেকে গলগল করে বেরোতে শুরু করে ধোঁয়া

আচমকা আগুন লেগে গেল গুয়াহাটি-কলকাতা এক্সপ্রেসে ধোঁয়া। তার জেরে এক্সপ্রেসটি ঘণ্টাখানেক আটকে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশনে। ঘটনাস্থলে রেলের আধিকারিকরা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৫০
কাটোয়া স্টেশনে আটকে এক্সপ্রেস ট্রেন।

কাটোয়া স্টেশনে আটকে এক্সপ্রেস ট্রেন। প্রতীকী চিত্র।

আচমকা আগুন লেগে গেল গুয়াহাটি-কলকাতা এক্সপ্রেসে। তার জেরে ট্রেনটি ঘণ্টা দেড়েক আটকে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশনে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বেলা ১২টা নাগাদ কাটোয়া স্টেশনে এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢোকার সময় একটি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান ট্রেনের যাত্রীরা। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, আগুন লেগেছে এক্সপ্রেসটির একটি এসি কামরায়। এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর এক্সপ্রেসটি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।

রবিবার গুয়াহাটি থেকে কলকাতাগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি কাটোয়া স্টেশনে ঢোকার আগে বি ১ এসি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন যাত্রীরা। গলগল করে ধোঁয়া দেখে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কাটোয়ায় পৌঁছে খবর পাঠানো হয় রেল পুলিশকে। স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন রেলকর্মীরা। ঘণ্টা দেড়েক বাদে ট্রেনটি আবার কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। কী ভাবে ট্রেনে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখবেন রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনে চড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বঙ্গাইগাঁওয়ের বাসিন্দা শঙ্কু গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘কামরা থেকে পোড়া গন্ধ পেয়ে আমরা দরজা দিয়ে মুখ বাড়িয়েছিলাম। তখন দেখতে পাই গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।’’

Advertisement
এই কামরা থেকেই বেরোয় ধোঁয়া।

এই কামরা থেকেই বেরোয় ধোঁয়া। — নিজস্ব চিত্র।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেলা ১২ টা ১৬ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত ট্রেনটি কাটোয়া স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। কাটোয়ার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার বর্ণালী বিশ্বাস জানিয়েছেন, ট্রেনের দু’টি কামরার মধ্যে অল্টারেশনের জায়গায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন লেগেছিল। স্পঞ্জ এবং পাউডার দিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার পর ট্রেনটির ফিটনেস পরীক্ষা করার পর কলকাতার দিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এসি কামরার চাকা থেকে ধোঁয়া বার হয়েছিল। তার পর সব ঠিক হয়ে গেলে ট্রেনটি ১টা ১৫ মিনিটে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement