বর্ধমানের স্কুলে পিঠে খেতে লাইন। নিজস্ব চিত্র।
চলছে ‘ছাত্র সপ্তাহ’। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার দু’টি স্কুলে আয়োজন করা হল পিঠেপুলি উৎসব। নবাবহাট অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মঙ্গলকোটের কৈচর ষোড়শীবালা বালিকা বিদ্যামন্দিরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে তিথিভোজন প্রকল্পের আওতায় এই উৎসব পালিত হয়। উৎসবের মূল লক্ষ্য ছিল সুস্থ খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করা ও হারিয়ে যেতে থাকা পিঠেপুলির ঐতিহ্যের সঙ্গে তাদের পরিচিত করানো।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ছাত্রদের বিদায় দিতে এবং নতুন পড়ুয়াদের স্কুলের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত করতে প্রতি বছরই ‘ছাত্র সপ্তাহ’ পালিত হয় সব স্কুলেই। ছাত্রদের মিড-ডে মিলে থাকে বিশেষ ভোজের ব্যবস্থা। এ দিন মেনুতে ছিল নারকেল পুর দিয়ে তৈরি সিদ্ধ পিঠে, সরুচাকলি, পাটিসাপটা এবং সয়া-দুধে তৈরি দুধপিঠে। উদ্যোক্তা পার্থপ্রতিম মিত্র বলেন, “চিরাচরিত সিদ্ধ চালের গুঁড়ির বদলে চাল ও জোয়ারের গুঁড়ি ব্যবহার করে পিঠেপুলি তৈরি করা হয়েছে। গরুর দুধের বদলে ছিল সয়াবিন থেকে তৈরি দুধ।”
কৈচর ষোড়শীবালার ছাত্রী আল্পনা বৈরাগ্য ও দেবপ্রিয়া গোস্বামীরা নিজেরাই পিঠে তৈরিতে এগিয়ে আসে। একই ভাবে যোগ দেয় নবাবহাট অবৈত্যনিকের খুদেরাও। দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গার্গী সামন্ত ও পারমিতা ভৌমিকেরা জানান, স্কুলে বাড়ির পরিবেশ দিতেই পিকনিকের মেজাজে এই রকম আয়োজন। এ দিন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং অভিভাবকেরাও যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা বাড়িতেও এই রকম পুষ্টিকর ভাবে পিঠে তৈরি করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
অন্য দিকে, বেলপুকুর জিএসএফপি বিদ্যালয়ে ‘ফুড ফেস্টিভ্যাল ও পিঠে উৎসব ২০২৫’ পালিত হয়। প্রধান শিক্ষক সুব্রতকুমার দাস বলেন, “প্রতিটি পড়ুয়াকে পাটিসাপটা বা মালপোয়া আনার জন্য অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল। বিদ্যালয়েও তৈরি হয় বিভিন্ন রকমের পিঠে। তদারকি করেন শিক্ষিকা নিবেদিতা মণ্ডল। প্রায় ৪০০ পড়ুয়া এই উৎসবে যোগ দেয়।” আগামী দিনে অভিভাবকদের যুক্ত করে আরও বড় করে এই উৎসব পালনের পরিকল্পনা আছে বলেজানান তিনি।