অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনুব্রত। —ফাইল চিত্র।
সংশোধনাগারে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সকালে কেষ্টকে সংশোধনাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ঠান্ডায় কাবু হয়েছেন তৃণমূল নেতা। সর্দি-কাশি হয়েছে তাঁর। হালকা জ্বরও রয়েছে। তা ছাড়া রবিবার হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন তৃণমূল নেতা। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বার বার জামিনের আবেদন করলেও প্রতি বারই সেই আবেদন খারিজ করেছে আসানসোলের বিশেষ আদালত। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে তদন্ত করতে চায় তারা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে ইডি। এর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা।
ইতিমধ্যে অনুব্রতের কাছ থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্যের বিবরণ বয়ান আকারে দিল্লির ইডির আদালতে জমা দেবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ইডির আইনজীবী দিল্লি আদালতের বিচারকের কাছে অনুব্রতকে সেখানে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানাবেন। যদি আদালত মনে করে, তবে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ দিতে পারে। না হলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতেই শুনানির নির্দেশ দিতে পারে।
অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরে দিল্লি আদালত তার বিরুদ্ধে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ জারি করলে আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ গত ২১ অক্টোবর তাঁকে দিল্লি আদালতে হাজির করে। মনে করা হচ্ছে অনুব্রতের ক্ষেত্রেও সেই পথে যাচ্ছে ইডি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, লটারি-কাণ্ড নিয়েও অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। সিবিআই যে ১৮ কোটি টাকার নগদ লেনদেনের হিসাব পেয়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি বলে খবর।