প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বৃহস্পতিবার ভোরে আসানসোলের রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি কয়লাখনি থেকে উদ্ধার হল তিন জন শ্রমিকের দেহ। বুধবার বিকেলে ইসিএল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার অন্তর্গত নারায়ণকুড়ি খনিতে ধস নামে। তাতে কয়েক জন শ্রমিকের চাপা পড়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে পুলিশ খবরের সত্যতা স্বীকার করে। রাতভর অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় তিন জন শ্রমিকের দেহ।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) এসএস কুলদীপ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘‘ভোররাতে তিন জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, ওই শ্রমিকেরা নারায়ণকুড়ি খনিতে অবৈধ ভাবে কয়লা সংগ্রহে নেমেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বুধবার সারা রাত ধরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত খনিতে দাঁড়িয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, যত ক্ষণ উদ্ধার কাজ না শেষ হয়, তত ক্ষণ তিনি থাকবেন। ভোরবেলায় দেহ উদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার পরে অগ্নিমিত্রা খনি এলাকা থেকে ফিরেছেন। তাঁর দাবি, খনি থেকে একাধিক দেহ উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি এই ঘটনায় ইসিএল এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বুধবার দুর্ঘটনার কবলে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরে অগ্নিমিত্রা বলেছিলেন, ‘‘পেটের জ্বালায় গ্রামের মানুষজন দু-চার বস্তা কয়লা বের করে বিক্রি করে সংসার চালান, রাজ্য সরকার তো কাজের ব্যবস্থা করেনি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা এই কাজ করে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।’’