Asansol Air Quality Improved

বায়ুর গুণমানে দুই  শহরের উল্টো চিত্র

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বায়ু ও জলবায়ু মন্ত্রকের নির্দেশে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দেশে ১০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার ৪৭টি শহরে বায়ুর গুণমান পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement
সুশান্ত বণিক
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৬
চিত্তরঞ্জনের ঝিলে পরিযায়ী পাখির দল।

চিত্তরঞ্জনের ঝিলে পরিযায়ী পাখির দল। ছবি: পাপন চৌধুরী।

দুর্গাপুর যখন দূষণে নাজেহাল, তখন আশার খবর আসানসোলে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, আসানসোলে বায়ুর গুণমান গত বছরের থেকে উন্নত হয়েছে। খনি-শিল্পাঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও আসানসোলের বাতাসের অবস্থা কলকাতা ও হাওড়ার মতো শহরের তুলনায় ভাল বলে জানা গিয়েছে ওই রিপোর্টে। দূষণ পরিস্থিতির এই উন্নতির জন্য কেন্দ্র থেকে আসানসোল পুরসভা ২০ কোটি টাকা অনুদানও পাবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বায়ু ও জলবায়ু মন্ত্রকের নির্দেশে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দেশে ১০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার ৪৭টি শহরে বায়ুর গুণমান পরীক্ষা করা হয়। তার ফলাফলে বায়ুর গুণমানের তালিকায় আসানসোল রয়েছে ২০ নম্বরে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরও একই পদ্ধতিতে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সে বার আসানসোল ছিল ৩৫ নম্বরে। সেই বিচারে, চলতি বছরে আসানসোলে দূষণ কমেছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। ওই রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এই তালিকায় কলকাতা রয়েছে ৪১ নম্বর এবং হাওড়া ৪৪ নম্বরে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৩-১০ লক্ষ পর্যন্ত জনসংখ্যার ৪৪টি শহরে বায়ুর গুণমানের পরীক্ষায় দুর্গাপুর এ বার ৩৭ নম্বরে রয়েছে। গত বছর দুর্গাপুর ছিল ১৬ নম্বরে।

আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সাফল্যর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। শহরের বায়ু দূষণ রুখতে এই টাকা খরচ করা হবে।’’ পুর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই টাকা কী ভাবে খরচ করা হবে, তার বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেছে পুরসভার ‘এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সেল’। খরচের তালিকায় রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারকে
অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কারণ, ওই বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ খারাপ রাস্তা। তাই শহরের যেখানে খারাপ রাস্তা আছে, সেগুলি সংস্কারে প্রায় ছ’কোটি টাকা খরচ করা হবে। মেয়র জানান, শহরে ভাসমান ধূলিকণা রোধে গত বছর একটি জলকামান কেনা হয়েছিল। এ বার আর একটি কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি আধুনিক দূষণরোধক যন্ত্র কেনা হচ্ছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমাত্রায় পেট্রল ও ডিজেল চালিত যানবাহন বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। তাই ব্যাটারি এবং সিএনজি চালিত যানবাহন চলাচলে জোর দেওয়া দরকার। কিন্তু আসানসোলের মতো শহরে পর্যাপ্ত সিএনজি পয়েন্ট এবং ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন না থাকায় এই ধরনের যানবাহনের প্রতি আগ্রহ কম। মেয়র জানান, ১০টি বরো কার্য়ালয়ে চার্জিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া, শহরতলিতে পুরসভার তত্ত্বাবধানে সিএনজি বাস পরিষেবা চালু করার বিষয়েও কথাবার্তা চলছে।

Advertisement
আরও পড়ুন