Bardhaman

শিশুর সঙ্গে কথা বলতে দেখে সন্দেহ! বর্ধমানে গণপিটুনি নাবালিকা-সহ দু’জনকে, উদ্ধার পুলিশের

স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার সকালে অপরিচিত পাঁচ জন তাঁদের এলাকার একটি বাচ্চার সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাঁদের সন্দেহ হয়। পাঁচ জনের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তখনই তাঁরা পালাবার চেষ্টা করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ১৫:৫৪

—প্রতীকী চিত্র।

আবার ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ। এ বার ঘটনাস্থল বর্ধমান শহর। শুক্রবার শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁ পাড়া এলাকায় নাবালিকা-সহ দু’জনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আক্রান্তদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা ভিক্ষা করতে গিয়েছিলেন। অন্য কোনও উদ্দেশ্য বা মতলব ছিল না। কিন্তু এলাকায় অপরিচিত মুখ দেখে শিশুচোর সন্দেহে তাঁদের মারধর করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ রকি, হীরা বেগমদের দাবি, শুক্রবার সকালে অপরিচিত পাঁচ জন তাঁদের এলাকার একটি বাচ্চার সঙ্গে কথা বলছিল। তাঁদের সন্দেহ হয়। পাঁচ জনের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তখনই তাঁরা পালাবার চেষ্টা করেন। স্থানীয় কয়েক জন তাঁদের ধাওয়া করেন। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তেলমারুই পাড়া এলাকায় এক নাবালিকা-সহ দু’জনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। বাকিরা পালিয়ে যান। দু’জনকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছে নাবালিকা-সহ দু’জনকে উদ্ধার করেছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বার বার এলাকায় এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। তবুও এ রকম ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না! আমরা আরও বেশি প্রচারে জোর দেব।’’ অন্য দিকে, আক্রান্তদের এক জন কানাই দেব বলেন, ‘‘ওই এলাকার ভিক্ষা করতে গিয়েছিলাম। স্থানীয়েরা ঘিরে ধরল। কী করব কিছু বুঝতে পারিনি। ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করল।’’ এই ঘটনায় আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর এখনও মেলেনি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

গত এক মাস ধরে বাংলার নানা প্রান্তে প্রায় নিত্য দিন গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। মূলত ছেলেধরা এবং চোর সন্দেহে এমন ঘটনা ঘটছে। কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনায় প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে এলাকায় এলাকায় প্রচার চললেও ওই রকম ঘটনা ঘটেই চলেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement