মেকআপ না করলে ‘ম্যাজিক’ হবে ত্বকে। ছবি: ফ্রিপিক।
রূপটান না-ই বা করলেন। টানা সাত দিন মেকআপ থেকে বিরতি নিন। তার পর চমক দেখুন। কেনা প্রসাধনীর ব্যবহার কমিয়ে দিলে এবং দীর্ঘ সময় ভারী মেকআপ না করলে ত্বকে নানা বদল আসবে। অনেকেই হয়তো ভাবেন, মেকআপ না করলে ত্বক কালচে দেখাবে অথবা জেল্লা ফুটে বেরোবে না। তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং ত্বককে বিশ্রাম দিলে নিজে থেকেই সে তার ক্ষত ভরাট করবে। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে আসবে। অনেক বেশি সতেজ ও তরতাজা দেখাবে।
মেকআপ দু’ভাবে ত্বকের ক্ষতি করে— ১) ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার না করলে ২) দিনের শেষে মেকআপ ঠিক মতো না তুললে। মেকআপ কেনা, তার ব্যবহার ও প্রসাধনের পরে পরিচর্যার কায়দা মেনে চলেন না অনেকেই। ফলে ত্বকের ক্ষতি হয় অচিরেই।
মেকআপ থেকে বিরতি নিলে ত্বকে কী কী বদল হবে?
১) মেকআপ থেকে বিরতি নিলে ত্বক অনেক বেশি সতেজ দেখাবে। কেবল ঠান্ডা জলে মুখ ধুলেই দেখবেন, ত্বক পরিষ্কার লাগছে। তেলতেলে ভাবটাও নেই।
২) ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে আসবে। ভুল প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারের কারণে ত্বক হয় বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়, না হলে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। তখন আরও বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে কৃত্রিম ভাবে ত্বককে সতেজ দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে ব্রণ-ফুস্কুড়ির সমস্যা বেড়ে যায়।
৩)ত্বকে দাগছোপের সমস্যাও অনেক কমে যাবে। অতিরিক্ত মেকআপের ব্যবহার এবং সঠিক ভাবে মেকআপ না তোলার কারণে ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। ফলে দাগছোপের সমস্যা বেড়ে যায়। মেকআপ করা বন্ধ রাখলে এই সমস্যার সমাধান নিজে থেকেই হতে থাকবে।
৪) চোখে জ্বালা, চুলকানি ভাব থাকলে তা-ও কমে যাবে। চোখ থেকে ঠিকমতো কাজল, মাস্কারা বা লাইনার তোলেন না অনেকেই। ফলে এইগুলি চোখে জমতে থাকে ও সংক্রমণের কারণ হয়ে ওঠে।
৫) মেকআপে যদি রাসায়নিক রঞ্জক বেশি মাত্রায় থাকে, তবে তাতে জীবাণু মিশতে পারে। এই ধরনের মেকআপ ত্বকে বেশিক্ষণ থাকলে র্যাশ, ব্রণ বার হয়। ত্বকের নতুন কোষ তৈরি হতেও বাধা পায়। তখনই চামড়া স্থিতিস্থাপকতা হারায়, তাতে বলিরেখা পড়ে। সবচেয়ে আগে ভাঁজ পড়ে চোখের চারপাশে। চেহারায় বয়সের ছাপ আসে। মেকআপ থেকে বিরতি নিলে এইসব সমস্যা হবেই না।
৬) সারা দিন ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে রাখেন? লিপকালার ত্রুটিপূর্ণ হলে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং চলে যেতে পারে। তখন ঠোঁট শুকিয়ে ছাল ওঠে, কালচে ছোপও দেখা দেয়। লিপস্টিক পরা বন্ধ করে হালকা লিপ বাম ব্যবহার করে দেখুন, অথবা ঠোঁটে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল লাগান। এতেও ঠোঁটের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসবে।