AITC

Bye Election: বালিগঞ্জ পেয়ে আপ্লুত বাবুলের ধন্যবাদ নেত্রীকে, শত্রুঘ্ন প্রসঙ্গে সরব পদ্ম, সুপ্রিয় নিয়ে চুপ

বালিগঞ্জের মতোই আরও এক বিজেপি-র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিংহকে। দুই প্রাক্তনী প্রসঙ্গে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে বিজেপি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ১৫:৩৭
বালিগঞ্জ ও আসানসোলের উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম থাকবে বাংলার রাজনীতি।

বালিগঞ্জ ও আসানসোলের উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম থাকবে বাংলার রাজনীতি। ফাইল চিত্র

রবিবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র নাম ঘোষণা করেছেন। তার কিছুক্ষণ পরেই টুইট করে তৃণমূল নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান এই গায়ক রাজনীতিক। তিনি লেখেন, ‘আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দিদি। আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আপনি আমাকে বাংলার জনগণের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন এবং আপনার উদ্দীপনাময় নেতৃত্ব ও আশীর্বাদে আমি নতুন শক্তি ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে হৃদয় দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।’ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই বাবুল বলেছিলেন, ‘‘প্রথম একাদশে খেলতে বেশি পছন্দ করি আমি। তাই যেখানে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাব সেখানেই যোগ দেব।’’ রবিবার মনোনয়ন পেয়েই আপ্লুত বাবুলের টুইটে ধরা পড়েছে উচ্ছ্বাস।

বালিগঞ্জে বাবুলের মতোই আরও এক বিজেপি-র প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে প্রার্থী করা হয়েছে আসানসোলে। দুই প্রাক্তনী প্রসঙ্গে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে বিজেপি। বাবুলের বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘কার চুল এলোমেলো, কার কী এলো গেল!’’ তবে অভিনেতা রাজনীতিককে অন্য রাজ্য থেকে এনে প্রার্থী করা প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সমীকরণের বিষয়টি উস্কে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়। তিনি টুইট করেন, ‘অনুমান করা হয়েছিল যে তৃণমূল আসানসোল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ দলের যুব শাখার সভাপতি সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর ভাইপোকে ছোট করার জন্য ওই আসনে একজন সম্পূর্ণ বহিরাগতকে প্রার্থী করেছেন। যিনি কেবল আসানসোলই নয়, বাংলার জন্য বহিরাগত।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত বছর বিধানসভা ভোটের পর মন্ত্রিসভার রদবদলে বাবুলকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পরেই ফেসবুকে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দেন তিনি। ১৮ সেপ্টেম্বর বাবুল যোগ দেন তৃণমূলে। পদত্যাগ করেন সাংসদ পদ থেকে। সেই কারণেই আসানসোল লোকসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। আর সেখানেই প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন। বিধানসভা ভোটে বিজেপি ভিন রাজ্যের নেতারা প্রচারে এলেই তাঁদের বহিরাগত বলে আক্রমণ করতেন মমতা-অভিষেক। শত্রুঘ্ন যে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের বাসিন্দা, সে কথাই কৌশলে টুইট মারফত বুঝিয়ে দিয়েছেন মালবীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement