Arvind Kejrwal

Lakshmir Bhandar: ভোটের মুখে পঞ্জাবে কেজরীবালের হাতে মমতার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, লক্ষ্য নারী ক্ষমতায়ন

২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ইস্তাহারে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নামে একটি প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৫৬
পঞ্জাবে ক্ষমতায় এলে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে প্রকল্প আনার ঘোষণা কেজরীবালের।

পঞ্জাবে ক্ষমতায় এলে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে প্রকল্প আনার ঘোষণা কেজরীবালের। নিজস্ব চিত্র

পঞ্জাবে ক্ষমতায় এলে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে প্রকল্প আনবে আপ। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন। সেই ভোটের আগে পঞ্জাব সফরে এসে নারী ক্ষমতায় নিয়ে একাধিক কথা বলেন তিনি। বক্তৃতায় অরবিন্দ বলেন, ‘‘যদি পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে পঞ্জাবের ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলামাসে ১০০০ টাকা করে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি পরিবারের যদি তিন জন মহিলা সদস্য থাকেন, তাহলে তিনজনের অ্যাকাউন্টে আলাদা আলাদা করে ১০০০ টাকা দেওয়া হবে। যে বয়স্ক মায়েরা বার্ধক্য ভাতা পান, তাদের বার্ধক্য ভাতার সঙ্গেও ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।’’

কেজরীবাল দাবি করেছেন, পঞ্জাব বা ভারত নয়, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহিলা ক্ষমতায়নের কর্মসূচি হবে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ইস্তাহারে লক্ষ্মীর ভান্ডার নামে একটি প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই এ কর্মসূচি চালু করতে উদ্যোগী হয় তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে মহিলাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলার মহিলাদের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য।

Advertisement

তবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মহিলাদের ৫০০ টাকা করে এবং তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাদের ১০০০ টাকা করে প্রতিমাসে দেওয়া হচ্ছে। ভোটের আগে এই প্রকল্পের নামকরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই প্রকল্পের এখনও পর্যন্ত কোনও নামকরণ করেননি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে,মমতার সেই প্রকল্পের ধাঁচে সেই প্রকল্প এনে পঞ্জাব দখলের ছক তৈরি করেছে অরবিন্দের আপ। তবে এ ক্ষেত্রে সবাইকেই ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, তৃতীয় বার পশ্চিমবঙ্গ দখলে মমতার পরামর্শদাতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আর অরবিন্দও তৃতীয়বার দিল্লি দখল করতেও, তাঁর পরমর্শদাতার ভুমিকায় ছিলেন তিনিই।

Advertisement
আরও পড়ুন