দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে সমস্যায় রেশন ডিলাররা। দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
রেশন ডিলারদের একাংশের আপত্তি সত্ত্বেও ১৬ নভেম্বর থেকে সূচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে রেশন প্রকল্পের। কিন্তু প্রকল্পের শুরুতেই একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে রেশন ডিলারদের। তাই আর কালবিলম্ব না করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এ বিষয়ে মূলত উদ্যোগী হয়েছে, জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলার্স। তাদের দাবি, দুয়ারে রেশন চালাতে যে খরচ হচ্ছে, তা কমিশন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এই প্রকল্পটি চালানোর জন্য প্রতি কুইন্টালে ডিলারদের কমিশন ৭৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু বর্ধিত কমিশন যথেষ্ট নয় বলে দাবি ডিলারদের। খাদ্যশস্য পরিবহণের জন্য গাড়ি কিনতে একলক্ষ টাকা অনুদান দিচ্ছে সরকার। কিন্তু অধিকাংশ ডিলার গাড়ি কিনতে চাইছেন না। রিকশা ভ্যান, যন্ত্রচালিত ভ্যান বা রিকশা, টোটো ইত্যাদি করে খাদ্যশস্য গ্রাহকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গাড়ি না কিনলেও পরিবহণ খাতে ডিলারদের এককালীন কিছু টাকা যাতে ডিলারদের দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাখতে চাইছে সংগঠন।
তবে কিছু বিষয়ে আপত্তি থাকলেও দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালিয়ে যাবেন একাংশ ডিলার। তবে প্রকল্প চালাতে গিয়ে যেসব সমস্যা হচ্ছে, সেগুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন রেশন ডিলারদের বড় অংশ। ঠিক হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হবে। গ্রাহকদের আধার ও মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরণের কাজ থেকেও অব্যাহতি চাইছেন ডিলাররা। সোমবার মহাজাতি সদনে রেশন ডিলারদের সংগঠন বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলার্সের তরফে বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘আমরা আগামী সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়ে আবেদন করব। তার আগে রাজ্যের সব প্রান্তে থাকা রেশন ডিলারদের সমস্যার কথা আমরা ভালভাবে জেনে নিতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন থাকবে সমস্ত সমস্যার কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিতে।’’ প্রসঙ্গত, রেশন ডিলারদের একাংশ আবার মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নারাজ। সূত্রের খবর, ডিলারদের একাংশ আবার আদালতে গিয়ে দাবি আদায়ের পক্ষপাতী।