Pratichi Report

Amartya Sen: মমতার ‘দিদিকে বলো’, ‘দুয়ারে সরকার’-এর প্রশংসা অমর্ত্যর প্রতীচী ট্রাস্টের রিপোর্টে

২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শুরু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প। রাজ্যের মানুষের সমস্যা এক ফোনেই সমাধান করতে কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২১ ১৫:১২
অমর্ত্য সেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

অমর্ত্য সেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’টি প্রকল্পের প্রশংসা করল অমর্ত্য সেন পরিচালিত প্রতীচী ট্রাস্ট। তার মধ্যে একটি হল, ‘দিদিকে বলো’ এবং অন্যটি ‘দুয়ারে সরকার’।

এ মাসেই প্রতীচী ট্রাস্ট তাদের সমীক্ষার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষ যেমন তাঁদের অভাব অভিযোগ সরকারের কাছে তুলে ধরতে পেরেছেন, তেমনই ‘দুয়ারে সরকার’-এর মাধ্যমে প্রায় পৌনে তিন কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে যত অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার ৯৫ শতাংশই সমাধান করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইনে ১০ লক্ষেরও বেশি অভিযোগ নিয়ে কাজ করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শুরু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প। রাজ্যের মানুষের সমস্যা এক ফোনেই সমাধান করতে কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পরিচিত ‘দিদি’র ভাবমূর্তিকেই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন মমতা। এ নিয়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনাও হয়েছিল দেদার। ফোনে যোগাযোগ করতে পারা, না পারা নিয়ে কটাক্ষও করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

Advertisement

প্রতীচীর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পেও যথেষ্ট ভাল সাড়া মিলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প চালু করেন মমতা। বিভিন্ন এলাকায় এই উদ্দেশ্যে ক্যাম্প চালু করা হয়। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সব রকম সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানানো হয়, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জাতিগত শংসাপত্র, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কৃষকবন্ধু এবং ১০০ দিনের কাজ— এই সবক’টি প্রকল্পের সুবিধাই মিলবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্যাম্পগুলি থেকে। এই সব প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে, সে সবও জমা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

প্রতীচীর সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মমতার সরকারি প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ৪৫ শতাংশ মহিলারা তাঁদের অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন। কী ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে তার একটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এবং বিধবাদের পেনশন— বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এই প্রকল্পগুলিতে ভাল সাড়া মিলেছে। আমপান এবং কোভিড সংক্রান্ত যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তার মধ্যে একটা বড় অংশ মহিলাদের।

আরও পড়ুন
Advertisement