RG Kar Financial Irregularity

অনুমোদন ছাড়াই আরজি করে হাউস স্টাফ হওয়ার সুযোগ কি সন্দীপের আমল থেকেই! তদন্তে সিবিআই

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি করে এমবিবিএসের পরে হাউস স্টাফশিপ করার জন্য যত অনুমোদিত আসন রয়েছে, তার থেকে বেশি সংখ্যক জুনিয়র চিকিৎসককে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
সারমিন বেগম
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯
আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে আরও এক বেনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই হাসপাতালে হাউস স্টাফশিপ করা নিয়েও দীর্ঘ দিন ধরে দুর্নীতি চলছে। সন্দীপ ঘোষ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার আগে থেকেই ওই দুর্নীতি চলছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।

Advertisement

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি এবং সেখানে এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ বর্তমানে জেলে রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি করে এমবিবিএসের পরে হাউস স্টাফশিপ করার জন্য যত অনুমোদিত আসন রয়েছে, তার থেকে বেশি সংখ্যক জুনিয়র চিকিৎসককে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে, না কি প্রভাবশালীদের পরিচিতদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই আরজি কর হাসপাতালে হাউস স্টাফশিপ করার আসনসংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে হাউস স্টাফের জন্য অনুমোদিত আসনসংখ্যা ১০৫। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ হাউস স্টাফ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ১১৭ জনকে। সিবিআই সূত্রে খবর, বাড়তি এই ১২টি আসনের প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র এখনও দেখাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মূলত কার্ডিয়োলজি বিভাগে হাউস স্টাফের সংখ্যা হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছিল বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

এ সব বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক নথি চেয়ে পাঠিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে হাসপাতালের বেশ কয়েক জনকে। টাকার বিনিময়েই কি অতিরিক্ত আসন তৈরি করে হাউস স্টাফশিপ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে কিছু জনকে? এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গত ৯ অগস্ট এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই আবহে ওই হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও প্রকাশ্যে আসে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই অভিযোগেরও তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্তের সূত্রেই নতুন অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement