(বাঁ দিকে) শেখ শাহজাহান এবং শেখ আলমগির (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
সিবিআই গ্রেফতার করেছিল আগেই। সন্দেশখালিকাণ্ডে এ বার ইডি গ্রেফতার করল শাহজাহান শেখের ভাই আলমগির, শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবু হাজরা এবং দিদারবক্স মোল্লাকে। গত রবিবার ওই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করেন ইডি আধিকারিকেরা। যে হেতু তিন জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই, তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ‘শোন অ্যারেস্ট’ হিসাবে দেখায় ইডি।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল ওই তিন জনকে আদালতে হাজির করানোর পর নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছিল, তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ১২ এপ্রিল ইডির বিশেষ আদালত তিন জনকে দশ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। দশ দিনের মেয়াদ শেষ হলে সোমবার আলমগিরদের আদালতে হাজির করানো হয়। তিন জনই জামিনের আবেদন করেননি।
শাহজাহানের ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন দিদারও। সিবিআই যখন তাঁদের গ্রেফতার করে, তখন শাহজাহানও ছিলেন সিবিআই হেফাজতে। ইডির উপর হামলার ঘটনায় আলমগির এবং দিদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, ইডির উপর হামলা এবং সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে শাহজাহানের আর এক শাগরেদ শিবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তাঁরা তিন জন জেল হেফাজতে ছিলেন।
ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, তাঁদের তিন জনকেই হেফাজতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারীদের। তবে যে মামলায় সিবিআই বা রাজ্য পুলিশ এঁদের গ্রেফতার করেছিল, সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে নয়, ইডি শাহজাহানের ভাই এবং তাঁর দুই শাগরেদকে হেফাজতে চায় রেশন দুর্নীতিকাণ্ড-সহ সন্দেশখালির জমি দখল এবং ভেড়ি দখল সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শাহজাহান ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং অন্যদের। ইডি শাহজাহানের বেআইনি কাজকর্মের তদন্তে নেমে এ বার সেই দিকেই নজর দিয়েছে। যে ব্যাপারে এ বার তাঁর সহযোগীদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা।