অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
ভগবানগোলায় উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ নিয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের একাংশ। বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর জেলায় বাম-কংগ্রেসের নিচু স্তরে নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ হেন পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, জোট ভাঙলে ভাঙুক! তাঁর দাবি, ভগবানগোলার প্রার্থী ঠিক করেছেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। এতে প্রদেশ কংগ্রেসের কিছু করার ছিল না। অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে চাইলেন না জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। শুধু তা-ই নয়, উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দলের একাংশের বিক্ষোভ দেখানোর বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন তাঁরা।
লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ও কিছু আসনে বিধানসভার উপনির্বাচনও হবে। পশ্চিমবঙ্গেরই যেমন ভগবানগোলা ও বরানগর আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। রবিবার ভগবানগোলা উপনির্বাচনে অঞ্জু বেগমকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর পরেই স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেন। বিক্ষোভ শুরু করেন। কেন কংগ্রেস আচমকা প্রার্থী ঘোষণা করে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিএম কর্মীদের একাংশের দাবি, উপনির্বাচনে বামফ্রন্টকেও প্রার্থী দিতে হবে। এই মর্মে সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করা হয়।
সিপিএমের নিচুতলার কর্মীদের দাবি, একমাত্র মুর্শিদাবাদেই লড়াই করছে বামেরা। বাকি কংগ্রেস আসনে লড়ছে। স্থানীয় বাম কর্মী হযরত মণ্ডল বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে শুধুমাত্র একটি আসনে ভোটে লড়ছে উঠছে বামেরা। ভগবানগোলা কেন্দ্রে গতবার প্রার্থী ছিল বামেদের। হঠাৎ করে এই আসন কেন কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হবে, আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা কোনও ভাবে কংগ্রেস প্রার্থীকে মানব না।’’ এ প্রসঙ্গে সোমবার অধীর বলেন, ‘‘জোট যদি ভাঙে, ভেঙে যাক। যা হয়েছে উপর থেকে হয়েছে। আমরা কিছু করিনি।’’
এ ব্যাপারে সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের দলের জোট অটুট রয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের কেউ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলেই মানতে চাইছেন না জামির। তিনি বলেন, ‘‘কোথায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে, পারলে ছবি দেখান। সিপিএমের কেউ কোথাও বিক্ষোভ দেখায়নি’’