—ফাইল চিত্র।
ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে নেমে তাঁর বিরুদ্ধে ‘টাকার বিনিময়ে’ তৃণমূলের দুই নেতাকে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এ বার এনআইএর সেই এসপি ধনরাম সিংহকে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর। অসমর্থিত সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, দিল্লিতে এনআইএর দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে এবং ধনরামের পরিবর্তে রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে আইপিএস রাকেশ রোশনকে। রাজ্যে এনআইএর হাতে থাকা মামলাগুলির দায়িত্ব এখন থেকে তিনিই সামলাবেন। রাকেশ এর আগে পটনায় কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও ‘এক্স (সাবেক টুইটার)’ হ্যান্ডলে পোস্ট করে এসপি ধনরামকে দিল্লিতে তলবের কথা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ধনরামের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত এবং পদক্ষেপ করতে হবে এনআইএকে। সরাতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিজিকেও।
কুণাল লিখেছেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-এনআইএ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতেই দিল্লিতে এসপি ধনরামকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করল এনআইএ। এনআইএ সূত্রে এ কথা জানতে পেরেছি। তিনি ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন দিল্লির উদ্দেশে। মামলাগুলির তদারকি করতে আইপিএস রাকেশ রোশনকে কলকাতায় পাঠাচ্ছে এনআইএ। তবে আমরা চাই ধনরামের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত হোক। বৈঠকের বিষয়টিও যেন চাপা দেওয়ার চেষ্টা না হয়। এনআইএর ডিজিকেও পদ থেকে সরানোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ, ধনরামের কার্যকলাপ জন্য তিনিও দায়ী।’’
উল্লেখ্য, তৃণমূল দাবি করেছিল ধনরাম এবং বিজেপির ‘যোগসূত্র’ রয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ ছিল, ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে যাওয়ার আগে গত ২৬ মার্চ ধনরামের বাড়িতে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জিতেন্দ্র প্রায় ঘণ্টাখানেক ধনরামের বাড়িতে ছিলেন বলেও দাবি। সেখানে এসপি ধনরামের হাতে বিজেপি নেতা তৃণমূলের একটি তালিকা ধরিয়ে দেন বলেও অভিযোগ। ভোটের আগে কোন কোন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে সেই নির্দেশও নাকি দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, একটি সাদা প্যাকেটও এনআইএর ওই অফিসারকে দেন বিজেপি নেতা। তাতে টাকা আছে কি না, পুলিশ তার তদন্ত করুক বলে দাবি করেছিল তৃণমূল।
এই একই বিষয়ে অভিযোগ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই যোগসাজশ অব্যাহত থাকলেও নির্বাচন কমিশন অদ্ভুত ভাবে নীরব। ভোট সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্বে অবহেলা করছে তারা।’’ যদিও এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছু়ড়েছিলেন জিতেন।