West Bengal Ration Case

৯০টি সংস্থা খুলে বিদেশে ‘টাকাপাচার’ শঙ্কর আঢ্যের! হাওয়ালা-যোগ ছাড়াও আর কী কী জানতে পারছে ইডি?

শনিবারই ইডি আদালতে দাবি করে যে, অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে ‘লেনদেন’ করেছেন শঙ্কর। তাদের দাবি, মোট ৯০টি ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২০
According to ED sources Shankar Adhya transferred money to foreign countries

শঙ্কর আঢ্য। —ফাইল চিত্র।

৯০টি সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে টাকাপাচার করেছিলেন বনগাঁর তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। হাওয়ালার মাধ্যমেও পাচার করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। ইডি সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে সুনিশ্চিত হতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

Advertisement

শনিবারই আদালতে ইডি দাবি করে যে, অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে ‘লেনদেন’ করেছেন শঙ্কর। তাদের দাবি, মোট ৯০টি ফরেক্স সংস্থা (বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা)-র মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিদেশি অ্যাকাউন্টে ডলার আকারে গিয়েছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। শঙ্করের এক পরিচিতের কাছ থেকে সে কথা জানা গিয়েছে বলে দাবি করে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, বিমান বা ট্রেনের ভুয়ো টিকিট দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। বিদেশি মুদ্রা (প্রধানত ডলার) সচরাচর বাংলাদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এতে বেশি লাভের আশা করতেন শঙ্কর।

শনিবার শঙ্করকে আদালতে হাজির করিয়েছে ইডি। সেখানেই তারা দাবি করেছে, শঙ্করের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর। এই টাকা প্রথমে ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা (মূলত ডলার)-য় পরিবর্তন করা হয়েছে। ইডি এ-ও জানিয়েছে, টাকা গিয়েছে দুবাইয়ে। হয় সরাসরি, নয়তো বাংলাদেশ হয়ে ওই টাকা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে।

ইডির দাবি, গত ১০ বছর ধরে এই ‘দুর্নীতি’ চলছে। সে কথা শুনে বিচারক বিস্ময় প্রকাশ করেন। বলেন, ‘‘এত টাকার লেনদেন, আর বলা হচ্ছে এটা নাকি গরিব রাজ্য!’’ আদালতে ইডির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্করের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার বৈধ ব্যবসা করেন। এই ব্যবসা বেআইনি নয়। তাঁদের দাবি, যথাযথ নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন