—প্রতীকী চিত্র।
অষ্টমীর সন্ধ্যা থেকে নবমীর সকাল, দিকে দিকে বাইক দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসছে। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে দু’চাকায় গতির ঝড় তুলছেন আরোহীরা। যার পরিণতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হচ্ছে মর্মান্তিক।
রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে বাইক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বাইক নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁরা গাছে ধাক্কা মেরেছিলেন। একই ভাবে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতেও দুর্ঘটনায় এক বাইকচালকের মৃত্যু হয়েছে। মালদহে বাইক কেড়েছে দুই ভাইয়ের প্রাণ।
ডায়মন্ড হারবারের উস্তি থানার শেরপুর এলাকায় একটি গাছে ধাক্কা মারে বাইক। আরোহীরা হলেন বিলাস মণ্ডল (২৫), অভিজিৎ বিশ্বাস (২৩) এবং নিমাই মণ্ডল। তিন জন একই পরিবারের সদস্য। বাইক নিয়ে তাঁরা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয়েছে অভিজিৎ এবং বিলাসের। নিমাই পরে হাসপাতালে মারা যান।
সাগরদিঘির সঙ্কেত চট্টোপাধ্যায় পেশায় রেস্তরাঁর মালিক। সোমবার ভোরে তিনি রেস্তরাঁর জন্য বাজার করতে গিয়েছিলেন। তাঁর বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্কেতের সঙ্গে রেস্তরাঁর এক কর্মচারীও ছিলেন। তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন। হাসপাতালে সঙ্কেতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বাইকের দুই আরোহীর কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। তাঁরা মত্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিলেন বলেও দাবি করেন কেউ কেউ। সঙ্কেতের পরিবারের তরফে হেলমেট ব্যবহার না করার কথা মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে মদ খেয়ে বাইক চালানোর বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি মৃতের আত্মীয় বিষ্ণুপদ ঘোষ।
এর আগে সোমবার ভোরেই মালদহের দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বাইক দুর্ঘটনায়। অভিষেক এবং সুজন হালদার অষ্টমীর রাতেই নতুন বাইক কিনেছিলেন। তা নিয়ে ঠাকুর দেখে ফিরছিলেন ভোরে। উল্টো দিক থেকে আসা মিনি বাসের সঙ্গে তাঁদের বাইকের সংঘর্ষ হয়। দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে।