Leaps and Bounds ED

আমার কত সম্পত্তি, ২০২০ থেকেই জানে, ইডি নতুন কী দেবে? লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে অভিষেক

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অভিষেক-সহ লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর এবং শীর্ষ পদাধিকারীদের সম্পত্তির তথ্য হলফনামা আকারে কলকাতা হাই কোর্টে জমা দিয়েছে ইডি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২১
Abhishek Banerjee says ED knows his asset from 2020.

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ কত? ২০২০ সাল থেকেই তার হিসাব ইডির কাছে আছে। লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় হাই কোর্টে ইডির হলফনামা প্রসঙ্গে এমনটাই দাবি করলেন অভিষেক। তিনি জানান, ইডির কাছে ২০২০ সালে তিনি প্রথম হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। সেই প্রথম দিনই তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির হিসাব এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে জমা দিয়ে এসেছিলেন। ফলে অভিষেকের সব সম্পত্তির হিসাব ইডি আগে থেকেই জানে। নতুন করে আর কিছু প্রকাশ করার নেই।

Advertisement

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার অভিষেক-সহ লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর এবং শীর্ষ পদাধিকারীদের সম্পত্তির তথ্য হলফনামা আকারে কলকাতা হাই কোর্টে জমা দিয়েছে ইডি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিংহ ইডি-কে অভিষেক এবং তাঁর সংস্থার সকল ডিরেক্টরের সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে বলেছিলেন। সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ানও দেখতে চেয়েছিলেন। ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘ওদের কাছে প্রথম থেকেই তো সব আছে। নতুন করে কী জমা দেব? ২০২০ সালে আমি প্রথম যে দিন ইডি দফতরে গিয়েছি, সে দিনই যাবতীয় সম্পত্তির হিসাব এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দিয়ে এসেছি।’’

ইডি এবং সিবিআইকে এখন আর তেমন গুরুত্ব দেন না বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে পাঁচ বার তলব করেছে। চার বার ইডি, এক বার সিবিআই। আমার স্ত্রীকে চার বার তলব করেছে। আমি এখন আর ইডি, সিবিআইকে গুরুত্ব দিই না।’’

লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও অভিষেক। নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে ওই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। রাতভর তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ইডি বেরিয়ে গেলে সংস্থার কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় থানায় অভিযোগ জানান, তাঁদের কম্পিউটারে ইডি আধিকারিকেরা ১৬টি অচেনা ফাইল ডাউনলোড করে দিয়ে গিয়েছেন। পরে ইডি ফাইল ডাউনলোড করার কথা স্বীকার করে নেয়। তারা লালবাজার এবং লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসে ইমেল মারফত ব্যাখ্যা দিয়ে জানায়, তাঁদের এক তদন্তকারী অফিসার ওই সংস্থার কম্পিউটারে নিজের কন্যার কলেজের হস্টেল সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। তখনই কোনও ভাবে ফাইলগুলি ডাউনলোড হয়ে গিয়ে থাকবে।

এর পর লালবাজার থেকে ইডির প্রতিনিধিকে তলব করা হলেও কেউ যাননি। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় ইডি অফিসারের ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে মৌখিক ভাবে জানান বিচারপতি সিংহ। রাজ্যের আইনজীবী প্রশ্ন করেছিলেন, “কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়লে, তারা কি তদন্ত করে দেখবে না?” রাজ্যের বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিংহ বলেন, “এই ঘটনায় আপনারা কি অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছেন না?” রাজ্যের বহু থানায় বহু অভিযোগ জমা পড়লেও, সেগুলি সক্রিয়তার সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হয় কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন
Advertisement