নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
নাম না-করে বাংলার সরকার ও শাসক দলকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাতে তারই পাল্টা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও কিছু প্রচারের আগে তার সঠিক প্রস্তুতি নেওয়ার ‘পরামর্শ’ও অভিষেক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’র বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মোদী বলেন, “সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন, কী ভাবে ‘ক্যাশ ফর জব’ (টাকার বিনিময়ে চাকরি)-এর ঘটনা ঘটেছে। যুব সমাজকে ধ্বংস করা হয়েছে। রেস্তরাঁর মতো সরকারি চাকরির সব পদে ‘রেট কার্ড’ রয়েছে সেখানে।’’ তিনি আরও বলেন, “পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি চাকরির নামে এ ভাবেই লুট করছে যুবসমাজকে।” সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের নাম করেননি মোদী। কিন্তু নিশানায় বাংলাই ছিল বলে মনে করছেন রাজনীতির বৃত্তে থাকা অনেকে। ওই অংশের মতে, শুধু সরকারকে নয়, বাংলার শাসকদলকেও নাম না–করে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Respected PM @narendramodi Ji,
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) June 13, 2023
Sometimes PEOPLE NEED TO TAKE THEIR OWN ADVICE, Please PRACTISE WHAT YOU PREACH! 🙏🏻 https://t.co/bysaBwbOwq pic.twitter.com/8gQVLZwH45
এরই পাল্টা হিসাবে মঙ্গলবার রাতেই একটি টুইট করেন অভিষেক। সেখানে ৩০টি পরিবারের ৬০ জন বিজেপি নেতার নাম প্রকাশ করেন তিনি। মোদীর ‘পরিবারতন্ত্র’ মন্তব্যের পাল্টা ওই টুইটে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে কোন বিজেপি নেতা কোন কোন পদে রয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে ওই সব নেতার পরিবারের লোকজন কে কোন পদে ছিলেন বা রয়েছেন সেই তালিকাও। এঁদের মধ্যে যেমন অমিত শাহ এবং তাঁর পুত্র জয় শাহ রয়েছেন, রয়েছেন শিশির অধিকারী এবং তাঁর পুত্র শুভেন্দু অধিকারীও। অভিষেক লিখেছেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি, মাঝে মধ্যে নিজেরই নিজের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কী প্রচার করবেন তার সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।”
সাম্প্রতিক কালে বিজেপির বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ রকম ভাবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সাংসদ সৌগত রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মোদী কতটা নীচে নামতে পারেন, তা আমরা দেখলাম। মোদীর কাছে জানতে চাই, ওঁর ঘনিষ্ঠ আদানিরা ক’টা চাকরি দিয়েছেন?’’