Ration Distribution Case

রেশনকাণ্ড: চতুর্থ গ্রেফতার! বিধাননগরের বাড়িতে রাত থেকে জেরা, সকালে ইডির জালে ডাকু-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী

রেশন ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকু। এ বার তাঁর পরিচিতকে ধরল ইডি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:২৩
ধৃত বিশ্বজিৎ দাসের সল্টলেকের বাড়ি।

ধৃত বিশ্বজিৎ দাসের সল্টলেকের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় রাজ্যের চতুর্থ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। বুধবার সল্টলেক থেকে ধরা হয়েছে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীকে। তিনি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং ওই একই মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর ঘনিষ্ঠ বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সূত্রে খবর।

Advertisement

রেশন দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। এ বার শঙ্করের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে ধরল ইডি। বিশ্বজিৎ দাস নামে ওই ব্যক্তির একাধিক ব্যবসা রয়েছে বলে খবর।

মঙ্গলবার ইডির অভিযান হয় বিধাননগরের সল্টলেক, মেট্রোপলিটন এলাকা এবং বাগুইআটিতে। ওই ব্যবসায়ীর একাধিক ফ্ল্যাটে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইডির একটি সূত্র জানাচ্ছে, সল্টলেকে বিশ্বজিতের প্রাসাদোপম বাড়িতে যখন তল্লাশি চলে, তখন ব্যবসায়ী বাড়িতে ছিলেন না। পরে অবশ্য তিনি বাড়িতে আসেন। এর পর মঙ্গলবার রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এর পর সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, বুধবারই বিশ্বজিৎকে তোলা হবে আদালতে।

গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁয় শঙ্করের বাড়িতে তারা তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধানের। তাঁর এবং তাঁর আত্মীয়-পরিজনদের নামে ৯০টির বেশি ফরেক্স সংস্থা রয়েছে। ইডি আদালতে জানিয়েছে, ওই সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লেনদেন করেছেন শঙ্কর। তার মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের মন্ত্রী তথা রেশন মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এর পরেই দুবাইতে শঙ্করের একটি সংস্থার খোঁজ পায় ইডি। এখন তদন্তকারীদের সূত্রে কবর, বিশ্বজিৎও শঙ্করের মতো ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সঙ্গে রেশন মামলার বেশ কিছু যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। শঙ্করের মতো দুবাই-যোগেরও অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার আদালতে তোলা হলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্বজিৎকে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুক্রবার ধৃতকে তোলা হবে বিশেষ আদালতে। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ ঢাকা থেকে ফেরেন।

আরও পড়ুন
Advertisement