Murshidabad rape case

কিশোরীকে আটকে রেখে লাগাতার ‘ধর্ষণ’ যুবকের, পাহারা দিতেন স্ত্রী-কন্যা! মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার চার

কিশোরীকে তিন দিন ধরে লজে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক যুবক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৮
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কিশোরীকে তিন দিন ধরে লজে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক যুবক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, নাবালিকার উপর অত্যাচার চালাতেন ওই যুবক, তখন পাহারায় থাকতেন তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা। শুধু তা-ই নয়, ‘নির্যাতিতা’কে দেহ ব্যবসায় নামানোরও পরিকল্পনা ছিল বলেও দাবি।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বছর পনেরোর ওই কিশোরী। থানায় ডায়েরিও করেছিল পরিবার। কিন্তু কোনও ভাবেই কিশোরীর হদিস মিলছিল না। এর মধ্যেই পরিবারের লোকেরা পুলিশকে জানান, তাঁরা মেয়ের খোঁজ পেয়েছেন। মেয়েকে একটি লজে আটকে রাখা হয়েছে। তার পরেই অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবক, তাঁর স্ত্রী, কন্যা এবং বছর পঞ্চান্নের এক মহিলাকে।

‘নির্যাতিতা’র পরিবারের দাবি, কিশোরীকে আটকে ধর্ষণ করতেন অভিযুক্ত যুবক। তাঁর স্ত্রী-কন্যা এবং ওই প্রৌঢ়া ‘নির্যাতিতা’কে আটকে রাখায় সাহায্য করতেন। চার জনের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল ‘নির্যাতিতা’র পরিবার।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ধৃতদের বহরমপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, ধৃতেরা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। কিশোরীকে দেহ ব্যবসায় নামানোর পরিকল্পনা ছিল বলেও জেরায় ইঙ্গিত পেয়েছেন তাঁরা। এর নেপথ্যে আর কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

Advertisement
আরও পড়ুন