Live In Couple

গড়িয়ায় লিভ ইন সঙ্গিনীকে অস্ত্রের কোপ, হাতের শিরা কেটে দেওয়ার অভিযোগ! ভর্তি বাঙুর হাসপাতালে

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবকের একাধিক মহিলার সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন তাঁর সঙ্গী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া, অশান্তি হত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪২

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সন্ধ্যা থেকেই ঝগড়া চলছিল যুগলের। রাতে জোর অশান্তি। লিভ ইন সঙ্গীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা এমনকি, তাঁর হাতের শিরা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। গড়িয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন নতুনপাড়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন যুবতী। অন্য দিকে, তাঁর একান্তবাসের সঙ্গী পলাতক।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। ওই যুবক-যুবতীর মধ্যে প্রবল বচসা চলছিল তাঁদের বাড়িতে। দু’জনের মধ্যে মারামারিও হয়। রাতের দিকে ওই যুবতী ঘরের দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ছুটে যান। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। এর পর রাতেই ওই যুবতীকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু পরে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে অন্য হাসপাতালের স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বর্তমানে বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগে নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত গড়িয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেন ওই যুগল। প্রথমে নিজেদের স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিতেন তাঁরা। যদিও পরে জানা যায়, দু’জনে লিভ ইন করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়শই ওই যুগলের মধ্যে ঝগড়া হত। আগেও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু শুক্রবার রাতে সেটা চরম আকার নেয়। ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে প্রথমে মহিলাকে কোপ মারা হয়। এমনকি, তাঁর একটি হাতের শিরাও কেটে দেন সঙ্গী। প্রাণ বাঁচাতে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিতে ছুটে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবকের একাধিক মহিলার সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন তাঁর সঙ্গী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া, অশান্তি হত। আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পলাতক ওই যুবকের খোঁজ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement