জয়ের শংসাপত্র হাতে গোসাবার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
গোসাবা কেন্দ্রে গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ন্ত নস্কর জিতেছিলেন। উপনির্বাচনে সেই কেন্দ্রেই জিতলেন তৃণমূলপ্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। মাঝখানে ব্যবধান ৬ মাসের। আর এই ৬ মাসে জয়ের ব্যবধান গুনে গুনে ৬ গুণ বাড়িয়ে নিলেন সুব্রত। ৬ মাস আগে জয়ন্ত তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে ২৩ হাজার ৭০৯ ভোটে হারিয়েছিলেন। সুব্রত এ বার ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫১ ভোটে জিতেছেন। গত বারের থেকে একেবারে ৬ গুণ!
গত জুন মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত। তার পরেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের কথা ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় বালি-১ গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রতকে প্রার্থী করে দল। কখনও নৌকায় দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে, কখনও টোটোতে চেপে তিনি প্রচার চালান। সুব্রতর সমর্থনে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা গোসাবায় এসে জনসভা করেন। গোসাবায় দাঁড়িয়ে জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ফল প্রকাশ পেতেই দেখা গেল সেই ব্যবধান ৬ গুণ বেড়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর কাছে বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা হেরেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫১ ভোটে।
মঙ্গলবার ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজে গণনাকেন্দ্রের সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ১৬ রাউন্ড গণনার শেষে সুব্রতর জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। দলীয়কর্মীরা সবুজ আবিরে আনন্দ-উৎসব করতে শুরু করেন। সুব্রত বলেন, ‘‘এই জয় মানুষের জয়। মা-মাটি-মানুষ সরকারের জয়। এত মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে আমি অভিভূত। আগামী দিনে এলাকার বাসিন্দাদের ছোট ছোট চাহিদাগুলি পূরণ করার পাশাপাশি গোটা গোসাবাকে উন্নয়নের চাদরে মুড়ে ফেলতে চাই।’’