Crisis of water

পানীয় জলের সঙ্কট ব্লক হাসপাতালে

সূত্রের খবর, ২০২১ সালে ভগবানপুর পঞ্চায়েতের তরফে হাসপাতালে পানীয় জলের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ ৯ হাজার টাকা খরচ করে যন্ত্র বসানো হয় রোগী ও তাঁদের পরিজনেদের জন্য।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ০৯:১১
খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের ওয়াটার এটিএম।

খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের ওয়াটার এটিএম। ছবি: সামসুল হুদা ।

একে তীব্র গরম, তার উপরে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে ভাঙড়ের জিরেনগাছা ব্লক হাসপাতালে। সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। তাঁদের বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হচ্ছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, ২০২১ সালে ভগবানপুর পঞ্চায়েতের তরফে হাসপাতালে পানীয় জলের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ ৯ হাজার টাকা খরচ করে যন্ত্র বসানো হয় রোগী ও তাঁদের পরিজনেদের জন্য। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই যন্ত্র খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের তরফেই প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে আলাদা নলকূপ বসানো হলেও সেটিও দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে পানীয় জলের যে নলবাহিত জলের কলগুলি রয়েছে, তা থেকেও ঠিকমতো জল পড়ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ারা বিবি, আব্দুল ওয়াহাব মোল্লারা বলেন, ‘‘ব্লক হাসপাতালে পানীয় জলের খুবই সমস্যা রয়েছে। আমাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে সবসময় জল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। বহু বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি তাতে।’’

বিএমওএইচ হিরণ্ময় বসু সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ ভাঙড় ২-এর বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই হাসপাতালে জলপ্রকল্পের জন্য ওয়ার্ক-অর্ডার হয়ে গিয়েছে। ভোটের কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। আশা করছি, দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওয়ার্ডে রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে সমস্যা নেই। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা ওই ব্লক হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মিমি চক্রবর্তীর সাংসদ তহবিলের টাকায় এখানে পানীয় জল প্রকল্পের জন্য জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই কাজের জন্য দরপত্র ডাকা হলেও কাজ শুরু হয়নি। সেই কারণে পানীয় জলের সমস্যা রয়ে গিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন