BYpoll Result

নির্দল প্রার্থী, বামেদের ভূমিকা নিয়ে কৌতূহল নানা মহলে

রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের ফলের দিকে তাকিয়ে। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, বাগদায় তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা  শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

হেলেঞ্চা হাই স্কুলে আজ, শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হচ্ছে ভোটগণনা। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৩ রাউন্ড গণনা-পর্ব চলবে। গণনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন প্রায় ১৪০ জন কর্মী। বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘গণনা কেন্দ্র এলাকায় ১৪৪ ধারা থাকছে। নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও মোতায়েন থাকছে।’’

Advertisement

রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের ফলের দিকে তাকিয়ে। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, বাগদায় তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে। গত লোকসভা ভোটেও বাগদা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর ২০ হাজার ৬১৪ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি নেতৃত্ব জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তবে এ বার বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল দলের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা নির্দল হিসেবে সত্যজিৎ মজুমদারকে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি কী প্রভাব ফেলেন, তা নিয়ে কৌতূহল আছে নানা মহলে। সত্যজিৎ বলেন, ‘‘এ বার মানুষ গোপনে ভোট দিয়েছেন। আমি ভাল ভোট পাব।’’ বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে তৃণমূল বাগদা বিধানসভা জুড়ে ব্যাপক ছাপ্পা দিয়েছে। এরপরেও আমরাই জিতব। বাগদার মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন।’’ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসও।

বাম প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস বাগদার পাঁচ বারের বিধায়ক কমলাক্ষ বিশ্বাসের ছেলে। তাঁর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন ৯১ বছরের কমলাক্ষ। প্রচার-পর্বে বাগদায় বামেদের মিটিং-মিছিল ভিড় হয়েছিল ভালই। প্রচারে এসেছিলেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, নরেন চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। গৌর বলেন, ‘‘জয়ের বিষয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পরে বাম কর্মীরা জান-প্রাণ দিয়ে লড়াই করেছেন। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল।’’

২০১৬ সালে থেকে তৃণমূল এখানে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে পরাজিত হয়ে আসছে। ঘাসফুল শিবির এ বার প্রার্থী করেছে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে। প্রচার-পর্বে বহু নেতা-মন্ত্রী এখানে কার্যত মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। মধুপর্ণা বলেন, ‘‘জয়ের বিষয়ে আমি একশো শতাংশ আশাবাদী।’’ তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে এখানে বামেদের প্রার্থী ছিল না। সেটা আমাদের বিপক্ষে গিয়েছিল। এ বার বামেদের প্রার্থী আছে। যা আমাদের জয়ের সুবিধার কারণ। দশ হাজারের বেশি ভোটে আমরা জয়ী হব।’’

কংগ্রেস প্রার্থী অশোককুমার হালদার ভাল ফল করার বিষয়ে আশাবাদী।

আরও পড়ুন
Advertisement