রাস্তা অবরোধ করে চলছে বিক্ষোভ। ছবি: নির্মল বসু
বেশ কিছুদিন ধরে বাদুড়িয়ার বাবুরবাগানে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এর সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও অসামাজিক কাজে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ তুলে রবিবার সন্ধ্যায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এলাকার মানুষ। পুলিশ সেই অবরোধ তুলতে গেলে জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর, তিন কনস্টেবল ও পাঁচ গ্রামবাসী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে।
বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, "বাদুড়িয়ার ঘটনায় চার পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাদুড়িয়া পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগান এলাকায় কিছুদিন ধরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রোজ মদ, গাঁজা, হেরোইনের আসর বসছে। গ্রামবাসীদের দাবি, অসামাজিক কাজ বন্ধের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। গত শনিবার বিকালে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানালে দুষ্কৃতীরা কয়েক জনকে মারধর করে বলে অভিযোগ। দুই গ্রামবাসী আহত হন। মূলত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসীদের একাংশ ঝাঁটা, লাঠি হাতে বাদুড়িয়া-মাটিয়া রাস্তা অবরোধ করেন। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও অসামাজিক কাজে ইন্ধনের অভিযোগ ওঠে।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা ও হাতাহাতি বাধে। ধস্তাধস্তির মধ্যেই পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর চলে। পরে বাদুড়িয়া ও বসিরহাট জেলা পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সালমা বিবি ও তাজমিরা বিবি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে এখানে অসামাজিক কাজ চলছে। এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পুলিশ, প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা না হওয়ায় আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। সেই সময় পুলিশ আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।’’ ওই এলাকায় অসামাজিক কাজের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার। দুই গ্রামবাসীকে মারধরের ঘটনাতেও অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে তিনি জানান।