ডেরেক ও’ব্রায়েন। —ফাইল চিত্র।
সংসদ অধিবেশনের আগে সাংসদদের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে না। এই মর্মে আজ সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে সংসদীয় ক্যালেন্ডার তৈরির দাবিও তোলা হল দলের তরফে।
৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব। কেন্দ্র সেই অধিবেশন শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে ১৭ জানুয়ারি। এর পর আজ সংসদীয় ক্যালেন্ডার তৈরির দাবি তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে সংসদ বিষয়ক ক্যালেন্ডার নিয়ে প্রাইভেট মেম্বার বিল এনেছিলেন।
ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, “লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যরা শুধুমাত্র আইন প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হননি। সরকারের কাছে জবাবদিহি চাইতে, সরকারের নীতি, পদক্ষেপের পর্যালোচনার জন্য এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করার জন্যও তাঁরা নির্বাচিত হন। এ হেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য সংসদীয় ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন। যদি বছরের শুরুতে স্কুল বা কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে ক্যালেন্ডার থাকতে পারে, তা হলে সংসদে কেন নয়?”
পাশাপাশি তৃণমূলের অভিযোগ, অধিবেশনের দিন ঘোষণা থেকে অধিবেশন শুরুর মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান ক্রমশ কমিয়ে আনছে সরকার। তার কারণ প্রথমত, তারা বিরোধী সাংসদদের প্রস্তুত হওয়ার সময় দিতে চাইছে না। দুই, সংসদ অধিবেশনকেই আদৌ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার। ডেরেকের বক্তব্য, “অধিবেশনের দিন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি ও অধিবেশন শুরু হওয়ার মধ্যে ক্রমহ্রাসমান সময় অস্থিরতা ডেকে আনছে। যা সংসদকে অন্ধকার কুঠুরিতে পরিণত করছে।”
তৃণমূল সাংসদের আরও অভিযোগ, “মোদীর আমলে প্রতি চারটে বিলের মধ্যে তিনটি বিল সংসদে পরামর্শের জন্য পেশই করা হয় না!” প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবটি ফের আনার বিষয়ও রয়েছে আসন্ন অধিবেশনে। বিগত অধিবেশনে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। গোটা প্রক্রিয়ার জন্যেও কমপক্ষে একশো দিন অধিবেশন চলা দরকার। তৃণমূলের বক্তব্য, অধিবেশনের দিন-তারিখ সম্পর্কে বিরোধীদের কার্যত অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। দিনক্ষণ সম্পর্কে তথ্য না থাকার কারণে বিরোধীরা নানা সংসদীয় কৌশল তৈরি করতে পারছেন না।