Barrackpore

সহবাস করে ঠকিয়েছেন! থানায় অভিযোগের পর তৃণমূল কাউন্সিলরের খোঁজ নেই! অস্বস্তিতে পুরপ্রধান

অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিলেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁকে বিয়ে করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বেঁকে বসেছেন ‘প্রেমিক’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ১২:৫৫
Subhadip Sarkar

অভিযুক্ত কাউন্সিলর শুভদীপ সরকার। ছবি: সংগৃহীত।

তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে ‘পলাতক’ শুভদীপ সরকার নামে অভিযুক্ত। শনিবার এই ঘটনায় শোরগোল এলাকায়। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বাবার দাবি, অভিযোগকারিণীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। পুলিশি তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্যি হলে অভিযুক্ত যে-ই হোন না কেন, শাস্তি হবে। অন্য দিকে, এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি।

Advertisement

অভিযোগকারিণী পানিহাটির বাসিন্দা। ব্যারাকপুর মহিলা থানায় তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল কাউন্সিলর শুভদীপ তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন। কিন্তু, পরে বিয়ে করতে রাজি হননি। এ ছাড়াও শারীরিক নির্যাতন-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ করেছেন উত্তর ব্যারাকপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে ওই কাউন্সিলরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবার দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ছেলের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগকারিণীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘ওকে পাগলগারদে দেওয়া উচিত। আমার ছেলে বিবাহিত। তার একটি ছেলে আছি। আমি ওকে (অভিযোগকারিণী) বলেছিলাম, মাথা থেকে এই সব ভূত তাড়াও। আমাকে তখন বলে, ‘জানতাম না যে ও বিবাহিত।’ ও এ-ও বলেছে যে, এটা ‘ওয়ান সাইডেড লভ’। আমিও একটি মেয়ের বাবা। আমি বলছি, মেয়েটির ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন। অতি অবশ্যই ওর মানসিক চিকিৎসা দরকার। না-হলে মেয়েটিই সবার কাছে আরও হাস্যকর হয়ে উঠবে। কারণ, ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। স্বপ্নের নায়ককে ভালবেসে থানায় যাওয়ার মতো ঘটনা।’’

অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে ছিলেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁকে বিয়ে করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বেঁকে বসেছেন ‘প্রেমিক’। ব্যারাকপুর মহিলা থানায় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস থেকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘নানা প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন আমার সঙ্গে সহবাস করেছেন ওই কাউন্সিলর।’’

এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় বলেন, ‘‘ঘটনা সত্যি হলে অভিযুক্ত যে-ই হোন, তাঁর শাস্তি হোক। আইন আইনের পথে চলবে।’’ কাউন্সিলরের বাবা জানিয়েছেন, ছেলে কোথায় রয়েছেন, তাঁর জানা নেই।

আরও পড়ুন
Advertisement