জাল নোট সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
জাল নোট-চক্রের সাত জনকে ধরল দেগঙ্গা ও অশোকনগর থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৬৯ লক্ষ টাকার জাল নোট। চক্রের বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, জমি কেনাবেচা, রেজিস্ট্রেশন, দু’হাজার টাকার নোট বদলে দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু দিন ধরেই একটি প্রতারণা চক্র দেগঙ্গা, অশোকনগর থানা এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পুলিশের দাবি, জমি কেনার নাম করে অশোকনগরের এক বাসিন্দার সঙ্গে প্রতারণা করেছিল এই চক্রের কয়েক জন। ৭ লক্ষ টাকা খোওয়া গিয়েছে বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি ১৪ জুলাই অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে অশোকনগর থানার পুলিশ দেবব্রত দাস ওরফে রাজু, ইব্রাহিম মণ্ডল, জুলফিকার মণ্ডল ওরফে বাবলু এবং ফারুক হোসেন নামে চার প্রতারককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বাড়ি আমডাঙা, গাইঘাটা, হাবড়া এবং নদিয়ার হরিণঘাটায়। তিন জন দেগঙ্গা থানার চাকলা পঞ্চায়েত এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল। কালো ব্যাগ নিয়ে তিন অপরিচিতকে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। ভাড়া বাড়িতে গিয়ে জেরা করে পুলিশ কিছু অসঙ্গতি পায়। ঘর তল্লাশি করে ব্যাগ থেকে মেলে ২ হাজার এবং ৫০০ টাকার জাল নোট। গ্রেফতার করা হয় শেখ হায়দার, আনসারুল মণ্ডল এবং রবিউল ইসলামকে। আনসারুলের বাড়ি বীরভূমে। বাকি দু’জনের বাড়ি হাবড়া এবং দেগঙ্গায়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, অশোকনগরের প্রতারণা চক্রের সঙ্গে তারাও জড়িত। চক্রটি জমি কেনার নাম করে জাল নোট ব্যবহার করত। পুরনো ২ হাজার টাকার বদলের ক্ষেত্রেও জাল নোট দিত তারা। বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি বলেন, ‘‘ধৃতদের ব্যাগে ২ হাজার এবং ৫০০ টাকার জাল নোট থাকত। এই নোট দিয়েই এরা অশোকনগরের এক বাসিন্দার সঙ্গে জমি কেনার নাম করে প্রতারণা করেছিল।’’ দুই থানা থেকে প্রতারণা চক্রের সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জাল নোট কোথা থেকে আসত, তা-খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।