TMC Councillor Death

সুইসাইড নোটে নাম ছিল, উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার তিন!

গত শনিবার সকালে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হয় উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দীর্ঘ চিঠি উদ্ধার করেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১২
Police arrested one accused of Mystery Death of TMC Councillor case

(বাঁ দিকে) উত্তর ব্যারাকপুরের ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে পুলিশ। মৃত ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান (উপ-পুরপ্রধান) সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এ বার পুলিশের জালে এক জন। সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা নাম জয়শ্রী দাস, শুভজিৎ বিশ্বাস এবং শুক্লা বিশ্বাস।

Advertisement

গত শনিবার সকালে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হয় উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিতের দেহ। মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে তিনি ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। শুক্রবার রাতে অবশ্য বাড়ি ফেরেন। পরে আবার কিছু ক্ষণের জন্য বাইরে বেরোন। ফিরে আসেন গভীর রাতে। পরিবারের কারও সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলেননি। শনিবার সকালে চিলেকোঠায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় সত্যজিৎকে।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দীর্ঘ চিঠি উদ্ধার করেছিল। পরিবারের দাবি, মোবাইলে ভুয়ো ভিডিয়ো দেখিয়ে সত্যজিৎকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল। তাঁর পুত্র সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাবার ‘সুইসাইড নোটে’ এ নিয়ে বিস্তারিত লেখালিখি হয়েছে। ওই চিঠিতে চার জনের নামের উল্লেখ ছিল। সার্থকের দাবি, তাঁদের মধ্যে দু’জনকে তাঁরা চিনতেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। ‘সুইসাইড নোটে’ থাকা চার জনকেই জেরা করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে প্রথমে আটক করে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

সত্যজিতের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যার তত্ত্বই জোরদার হচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই। তবে আত্মহত্যার নেপথ্যে কী কারণ, সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। মঙ্গলবারই সত্যজিতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।

Advertisement
আরও পড়ুন