TMC

তৃণমূল ছাত্রনেতার হাতে পিস্তল! ভাইরাল ছবি নিয়ে শোরগোল, ‘শুনেছি খেলনা বন্দুক’ বললেন তৃণাঙ্কুর

চোপড়ার জেসিবি হোক বা কুলতলির সাদ্দাম কিংবা আড়িয়াদহের জয়ন্ত— কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন তরুণ নেতার ‘কীর্তি’তে অস্বস্তিতে তৃণমূল। তবে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩৫
Photo of Bhatpara’s TMC student leader holding gun viral on social media

পিস্তল হাতে তৃণমূল ছাত্রনেতার ছবি। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)

হাতে পিস্তল। কখনও তা তাক করা সোজাসুজি। কখনও আবার সেই পিস্তল নিজের গালে ঠেকিয়ে রেখেছেন। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার এক তৃণমূল ছাত্রনেতার এমন একাধিক ছবি সমাজমাধ্যমে শুক্রবার সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন বিজেপি নেতারাও (আনন্দবাজার অনলাইন যদিও এ সব ছবির সত্যতা যাচাই করেনি)। এক জন ছাত্রনেতা কী ভাবে পিস্তল হাতে নিয়ে ছবি তুললেন তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শাসকদল যদিও জানিয়েছে, তারা জানতে পেরেছে, ছবিতে দেখতে পাওয়া ছাত্রনেতার হাতের পিস্তলটি আসল নয়, খেলনা বন্দুক। তবে সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নয়। বিষয়টি প্রশাসন দেখছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

চোপড়ায় জেসিবি হোক বা কুলতলির সাদ্দাম, কিংবা আড়িয়াদহের জয়ন্ত— বিগত কয়েক দিনে বিভিন্ন তরুণ নেতার ‘কীর্তি’তে অস্বস্তিতে শাসকদল। এ বার ভাটপাড়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাসকদলের ছাত্রনেতা শুভাশিস চক্রবর্তীর পিস্তল হাতে ছবি তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে। অভিযোগ, শুভাশিসের নাম এই প্রথম আলোচনায় এল না। এর আগেও একাধিক অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি, গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে শুভাশিসের ছবিও ঘুরছে সমাজমাধ্যমে।

প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে ওই ছাত্রনেতার হাতে বন্দুক এল? যদিও তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। এই ঘটনা নিয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘‘এটা কোনও ব্যাপার নয়। তৃণমূল করলে আগ্নেয়াস্ত্র নেওয়ার অধিকার আছে। এটা তৃণমূলের কালচার। তাঁর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার বা আটক করবে না।’’

শুভাশিসকে তিনি চেনেন বলেই জানান তৃণাঙ্কুর। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলেটি আমার পরিচিত। আমি গত ১৫ বছর রাজনীতি করছি। ব্যারাকপুর লোকসভায় যাঁরা ছাত্র রাজনীতি করেন তাঁরা প্রত্যেকেই আমার পরিচিত। আমার সঙ্গে ওঁর একটা কেন, একাধিক ছবি থাকতে পারে। এই ছেলেটি একটা সময়ে রাজনীতি করত। সাধারণ কর্মী। কোনও নেতা নয়। এখন সে পারিবারিক চাপে রাজনীতি করতে পারে না। ওর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে শুনেছি, ওটা খেলনা বন্দুক। মজা করে ছবি তোলা হয়েছিল। সেগুলো নিয়ে কেউ যদি রাজনীতি করে করুক। তবে আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, সবটা যেন তদন্ত করে দেখা হয়। যদি কোনও অন্যায় হয়ে থাকে তা হলে শাস্তি হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement