Gunin arrested

স্বামীর মাদকে আসক্তি ছাড়ানোর ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, হাজতে ‘গুণধর’ গুণিন

স্বামী এবং ছেলেকে বাড়ির বাইরে রেখে ঘরে তুকতাক করবেন বলে মহিলাকে জানান গুণিন। তার পর ফাঁকা ঘরের সুযোগ নিয়ে মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মহিলা চিৎকার করে ওঠেন। তাতেই পালান গুণিন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৩
representational image

— প্রতীকী ছবি।

স্বামীর মাদকাসক্তি কাটানোর ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এক গুণিনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত। ধৃতের নাম সোনা হালদার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়।

Advertisement

অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রোজই স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী কারও সঙ্গে কথা বললে স্ত্রীকে সন্দেহও করতেন স্বামী। নিত্য অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং স্বামীকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া স্ত্রী প্রতিবেশী মণি প্রামানিককে সব খুলে বলেন। প্রতিবেশী মহিলা তাঁকে এক গুণিনের কথা জানান। পরবর্তীতে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় ওই গুণিনের দ্বারস্থ হন স্ত্রী। অভিযোগ, বধূর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁকা ঘরে তাঁকেই ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই গুণিন। হাত ছাড়িয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে বাঁচেন বধূ। তার পর অভিযোগ দায়ের করেন নরেন্দ্রপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে সোনাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ সূত্রের খবর, গুণিনের আদি বাড়ি ছিল মন্দিরবাজার থানা এলাকার মুকুন্দপুরে। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি নরেন্দ্রপুরে ভাড়াটে হিসাবে থাকতেন। সেখানে থেকেই চলত গুণিনগিরি। স্বামীকে মূলস্রোতে ফেরাতে ওই গুণিনের কাছেই যান মহিলা। গুণিন দাবি করেন ১৫ হাজার টাকা। পরে দর কষাকষিতে পাঁচ হাজার টাকায় রাজি হন সোনা। এর পর ওই মহিলাকে জানানো হয় স্বামী ও সন্তানকে বাইরে রেখে ঘরের মধ্যে তুকতাক করবেন তিনি। সেই মতো স্বামী ও সন্তানকে প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে ঘরে থাকেন বধূ। তুকতাকের নামে ওই গৃহবধূকে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে দেন গুণিন। তার পর তিনি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখনই বধূ চিৎকার করে ওঠেন। চিৎকার শুনে পালিয়ে যান গুণিন। নির্যাতিতা মহিলা থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement