Dengue Awareness Campaign

সদ্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ডেঙ্গি মোকাবিলার তোড়জোড়

শনিবার সকালে বৈঠক হয়েছে বারাসত রবীন্দ্রভবনে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে আমডাঙা, হাবড়া ২, গাইঘাটা, বাদুড়িয়া, বনগাঁ, রাজারহাট ব্লকে ডেঙ্গি ভাল রকম ছড়াচ্ছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বারাসত শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৩০
জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বর্জ্য সংগ্ৰহের গাড়ি তুলে দিচ্ছেন ডেঙ্গি প্রবণ পঞ্চায়েতগুলোকে ।

জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বর্জ্য সংগ্ৰহের গাড়ি তুলে দিচ্ছেন ডেঙ্গি প্রবণ পঞ্চায়েতগুলোকে । ছবি বারাসতের রবীন্দ্রভবনে।

ডেঙ্গি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন উত্তর ২৪ পরগনার ১৯৯টি পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যেরা। জেলা প্রশাসনের ও স্বাস্থ্য কর্তাদের থেকে ডেঙ্গি মোকাবিলার পাঠ নেন তাঁরা। নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদের সদস্যেরা নিজেদের এলাকাকে কী ভাবে ডেঙ্গি থেকে সুরক্ষিত রাখবেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

Advertisement

শনিবার সকালে বৈঠক হয়েছে বারাসত রবীন্দ্রভবনে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে আমডাঙা, হাবড়া ২, গাইঘাটা, বাদুড়িয়া, বনগাঁ, রাজারহাট ব্লকে ডেঙ্গি ভাল রকম ছড়াচ্ছে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুজোর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকার ঝোপ-জঙ্গল সাফাই, যত্রতত্র পড়ে থাকা জিনিসপত্রে জমা জল নষ্ট করা, গাপ্পি মাছ ছাড়া, নিকাশি ব্যবস্থা সচল করা, প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার কমানো ও বাসিন্দাদের সচেতন করার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এ দিনের বৈঠকে। ডেঙ্গি প্রতিরোধ দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়মিত সাফাইয়ের ব্যবস্থা করতে পঞ্চায়েত সদস্যদের ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে প্রধানদের।

এ দিন বৈঠকে ডেঙ্গি-প্রবণ এলাকা হিসাবে ৭৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকার পঞ্চায়েতের তিনস্তরের সদস্যদের বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়ে কাজ বোঝানো হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, বনগাঁ ও আমডাঙা ব্লকে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজকর্ম করতে শ্রমিক ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানকার নিচু এলাকায় জমা জল সরানো ওব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর উদ্যোগ করা হবে।

এ দিন জেলার বেশ কিছু পঞ্চায়েতের হাতে বর্জ্য সংগ্ৰহের গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বৈঠকে ভেক্টর বার্ন ডিজিজ় কন্ট্রোল এবং কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের বিষয়গুলি জনপ্রতিনিধিদের বোঝান। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট তৈরির কথা বলেন। জেলাশাসকের কথায়, "বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মশার লার্ভা দমনের সঙ্গে সঙ্গে যত্রতত্র আবর্জনা দূরীকরণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মচারীদের।"

বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও ছিলেন জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত, স্বচ্ছ ভারত মিশনের পার্থ চক্রবর্তী। বৈঠক শেষে নারায়ণ বলেন, "অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি নতুন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সাফাই থেকে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর মতো সব ধরনের কাজে প্রধান-উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের সকলকে উপস্থিত থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে।"

আরও পড়ুন
Advertisement