সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুর বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হল থানায়। বুধবার অভিযোগকারিণী গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। এর আগেই গণধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ বার দ্বিতীয় অভিযোগ দায়ের হল আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিবু-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে এই নয়া অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সন্দেশখালি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন শিবু হাজরা। গত শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে। ঘটনাক্রমে ওই ব্লকে শিবুর পদের দায়িত্ব সামলানোর জন্য সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। বছর ছয়েক আগে তৃণমূলের তরফে দলের সন্দেশখালি ২ ব্লক সভাপতি করা হয় শিবুকে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, তার পর থেকে একের পর এক দুর্নীতি এবং অপরাধমূলক কাজ করেছেন তিনি। তবে শিবুর নাম উঠে এসেছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সূত্র ধরে।
ইডির অভিযানের পর শাহজাহান ‘বেপাত্তা’ হয়ে যাওয়ার পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শিবুরও। জমি দুর্নীতি থেকে মহিলাদের উপর নির্যাতন— তৃণমূলের ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। কয়েক দিন আগে শিবুর মুরগির খামারে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর বাগানবাড়িতে ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শনিবার শিবুকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার বসিরহাট থানা থেকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলার সময় শিবুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। এমনকি, থানার সামনে শিবুকে দেখে ‘চোর-চোর’ স্লোগানও ওঠে।
অন্য দিকে, বুধবারই সন্দেশখালির
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন
এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি
রহমান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ একাধিক বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। পাশাপাশি সন্দেশখালির পাঁচটি জায়গায় মোট দশটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
নতুন করে যাতে কোনও রকম অশান্তি না ছড়ায়, লেই নজরদারির জন্যই এই বন্দোবস্ত হয়েছে।