মৃত্যু হল তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ সেই যুবকের। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভিকি যাদব নামে গুলিবিদ্ধ যুবককে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতায়। গাড়ি করে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হল তাঁর। জানা গিয়েছে, মাথা এবং সারা শরীর মিলিয়ে মোট ন’টি গুলি লাগে ভিকির। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার উঠোনে গরুকে বিচলি খাওয়াচ্ছিলেন ভিকি। সে সময় একটি বাইকে করে তাঁর বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় তিন জন। জিজ্ঞাসা করা হয়, ভিকি কার নাম? ভিকি নিজের পরিচয় বলার সঙ্গে সঙ্গেই এলোপাথাড়ি গুলি চলতে শুরু করে। বাড়ির দরজার সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। পরিবারের দাবি, ভিকির সারা শরীরে মোট ন’টি গুলি লেগেছে। সব মিলিয়ে মোট ১১ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ভিকিকে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে এই শুটআউটের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া নিজে যান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, কোনও ভাড়াটে খুনি দিয়ে এই খুন করানো হয়েছে। তা ছাড়া, শত্রুতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, একটা বা দুটো গুলি নয়, ১০টির বেশি গুলি চলে ভিকিকে লক্ষ্য করে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৩৫ বছরের ভিকি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে এলাকায় পরিচিত। পাশাপাশি, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের ভাইপো সৌরভের তিনি ছায়াসঙ্গী।
অন্য দিকে, বার বার উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় গুলি এবং বোমাবাজিতে মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে। এই খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে, তা তদন্তসাপেক্ষ।