তরুণীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, ঘটনাস্থলে কুলতলি থানার পুলিশ। শনিবার রাতে। —নিজস্ব চিত্র।
পাত্রী পছন্দ হয়েছিল। বিয়ের কথাও এগোচ্ছিল। কিন্তু পাত্রকে দেখার পর তাঁকে পছন্দ হয়নি কন্যা বা তাঁর বাড়ির কারও। ফলে বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেন তাঁরা। এর পরেই শুরু হয় অশান্তি। ওই যুবক বার বার তরুণীকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে পাত্রীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন যুবক। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির। অভিযোগ, শনিবার রাতে জোর করে তরুণীর বাড়িতে ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিলেন। তরুণীকে জোর করে তিনি বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তরুণীকে বিয়ে করা ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। কোনও রকমে প্রতিবেশীদের সাহায্যে যুবককে ঠেকান তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা। চিৎকার করে তাঁরা লোক জড়ো করেন। তার পর যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মাস দুয়েক আগে তিনি মায়ের সঙ্গে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে তাঁকে দেখে পছন্দ হয় এক মহিলার। তরুণীকে তিনি নিজের পুত্রবধূ করতে চান। তা নিয়ে তরুণীর মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের কথাবার্তা সবে এগোতে শুরু করেছিল। কিন্তু তখনও পাত্রকে দেখেননি তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পাত্রকে দেখে আসার পরে তাঁরা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
অভিযোগ, মেয়ের বাড়ি থেকে বিয়েতে ‘না’ করে দেওয়ার পরেও তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন যুবক। তরুণীকে বার বার বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। বিয়েতে রাজি না হলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এমনকি, তরুণীর বাড়ির সামনে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। শনিবার রাতে তিনি লোকজন নিয়ে তরুণীর বাড়িতে চড়াও হন এবং তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুলতলি থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে রবিবারই বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।