Ishapore Rifle Factory

ইছাপুর রাইফেল কারখানার পার্কে পাহারাদারদের মারে মৃত্যু যুবকের! গিয়েছিলেন বন্ধুর মেয়ের জন্মদিনে

মৃতের পরিবার নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পাহারাদারের মারে আহত হয়ে কৃশানুর অন্য দুই বন্ধু ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৪
(বাঁ দিকে) মৃত কৃশানু চট্টোপাধ্যায়। ইছাপুর রাইফেল কারখানা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মৃত কৃশানু চট্টোপাধ্যায়। ইছাপুর রাইফেল কারখানা (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

বন্ধুর মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন যুবক। অনুষ্ঠানের পর ইছাপুর রাইফেল কারখানার পার্কে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন তিনি। অভিযোগ, সে সময় কৃশানু চট্টোপাধ্যায় নামে ৩২ বছরের ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করেন কারখানার পাহারদারেরা (ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর)। তাতেই প্রাণ গিয়েছে তাঁর বলে দাবি পরিবারের। তারা নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পাহারাদারের মারে আহত হয়ে কৃশানুর অন্য দুই বন্ধু ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Advertisement

শনিবার রাতে এক বন্ধুর মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কৃশানু। খাওয়াদাওয়ার পর ইছাপুর রাইফেল কারখানার পার্কে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সে সময় কারখানার পাহারাদারেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। মৃতের দাদা অর্ক চট্টোপাধ্যায় জানান, ইছাপুর কারখানার ওই পার্ক ‘সুরক্ষিত’ এলাকা। সেখানে কৃশানু-সহ কয়েক জন দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘হঠাৎই ডিএসসির লোকজন তল্লাশি চালাতে আসেন। তাঁরা লাঠি দিয়ে মারধর করেন।’’

মৃতের বাবা কাজল চট্টোপাধ্যায় জানান, পার্কে যাঁরা গল্প করছিলেন, তাঁদের তিন জনকে ভিতরে নিয়ে যান পাহারাদারেরা। বাকি তিন জনকে বেধড়ক মারধর করেছেন। তার পরে তাঁর ছেলেকে ডিএসসি হাসপাতালে নিয়ে যান পাহারাদারেরা। কাজল জানিয়েছেন, ওই এলাকায় কারও প্রবেশ নিষেধ। প্রসঙ্গত, তিনি নিজেও ইছাপুর রাইফেল কারখানাতেই কাজ করতেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ওই কারখানায় অনেক চেনাজানা ছিল। ওরা আমার ছেলেকে কী ভাবে মারল! বিচার চাই।’’

Advertisement
আরও পড়ুন