—নিজস্ব চিত্র।
প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শেখ করিম ও তাঁর ছেলে শেখ ইয়াসিন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ধৃতেরা আইএসএফ কর্মী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিস্তর অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল ভাঙ়ড়ে। গোটা ভোটপর্ব জুড়ে লাগাতার রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল ও আইএসএফকে। শাসকদলের দাবি, এই বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারই প্রমাণ করে, বিগত দিনে ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফই দায়ী। এই অভিযোগ অস্বীকার করে আইএসএফের বক্তব্য, তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালালে এর চেয়ে আরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যাবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে কাশীপুর থানা এলাকার চালতাবে়ড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শেখ করিমের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি লং পাইপ গান, ছ’টি তাজা কার্তুজ, একটি দেশি বন্দুক, ৫০ বান্ডিল বোমা তৈরির সুতলি, স্প্লিন্টার-সহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘এই ঘটনায় শেখ করিম ও তাঁর ছেলে শেখ ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের সোমবার বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হবে।’’
ভাঙড়ে শাসকদলের দায়িত্বে থাকা শওকত মোল্লা বলেন, ‘‘ভাঙড়ে আগের অশান্তির ঘটনার জন্য যে আইএসএফই দায়ী, তা আবার প্রমাণিত হল। আইএসএফ কর্মীদের কাছে আরও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। পুলিশের উচিত অভিযান চালিয়ে যাওয়া। তা হলে সব পাওয়া যাবে।’’ পাল্টা স্থানীয় আইএসএফ নেত্রী আসমা খাতুন বলেন, ‘‘আইএসএফকে দুর্বল করতেই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ভাঙাচোরা টিনের ব্যবসা করত। তাদের ফাঁসাতেই বাড়ির সামনে আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে রেখে গিয়েছে কেউ। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালালে আরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হবে। কিন্তু তার জন্য নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করতে হবে পুলিশকে।’’