Bhangar

আবাস নিয়ে ভাঙড়ে শোরগোল! তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে জখম বেশ কয়েক জন

সম্পূর্ণ রাজ্যের অর্থে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন তার সমীক্ষার কাজ চলছে। তবে ওই সমীক্ষা শুরু হওয়ার পরে বিভিন্ন জেলায় ক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভাঙড়  শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৭
Police at Bhangar

গন্ডগোলের খবর পেয়ে ভাঙড়ের চকমরিচা এলাকায় যাচ্ছে পুলিশবাহিনী। —নিজস্ব চিত্র।

বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, বুদবার ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার চকমরিচা এলাকায় আবাস যোজনা প্রকল্পের সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। হঠাৎই সেখানে শুরু হয় শাসকদল এবং বিরোধী দলের কর্মীদের মধ্যে অশান্তি। আইএসএফের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকায়। তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। তার মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। মামারিতে আহত হন আইএসএফের এক কর্মী। তৃণমূলের দাবি, তাদের বেশ কয়েক জন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে এবং তাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন। নিজেকে আইএসএফের কর্মী বলে দাবি করা আবেদুল মোল্লার দাবি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতা এবং কর্মীদের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। যাঁদের পাকা বাড়ি আছে, তাঁদের নামেও ঘর এসেছে। সাধারণ গরিব মানুষের নাম তালিকায় নেই। এরই প্রতিবাদ করেছে আইএসএফ। তখনই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করেছে।’’

অন্য দিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় তাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছে আইএসএফ। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাড়িতেও হামলা করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে আইএসএফ ভাঙড়ে অশান্তি পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন সম্পূর্ণ রাজ্যের অর্থে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করা হবে। এখন তারই সমীক্ষার কাজ চলছে। তবে ওই প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হওয়ার পরে বিভিন্ন জেলায় ক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক ‘অযোগ্য’ নাম তালিকা যাচাই প্রক্রিয়ায় সামনে এসেছে বলে অভিযোগ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি। কাশীপুরের গন্ডগোলের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement