স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন স্বামীর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্ত্রীর গলায় কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় যুবককে গ্রেফতার করেছে বাগদা থানার পুলিশ। নিহত অর্পিতা বিশ্বাসের শাশুড়ির দাবি, বধূ রিল তৈরি করতেন। আর তা করার সময়ে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, যা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। তার জেরেই ২৮ বছরের অর্পিতাকে খুন করেছেন প্রসেনজিৎ বিশ্বাস।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার কোলা গ্রামের বাসিন্দা অর্পিতা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে রান্না করছিলেন তিনি। হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন, রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই বধূ। সেখানে কুড়ুল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রসেনজিৎ। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় অর্পিতার। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছোয় বাগদা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করে প্রসেনজিৎকে। কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে বাগদা থানার পুলিশ।
প্রসেনজিতের মা সরস্বতী বিশ্বাসের দাবি, পুত্রবধূর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। অর্পিতা মাঝেমধ্যেই প্রসেনজিৎকে বলতেন, অন্য কারও সঙ্গে সংসার পাতবেন। সেই নিয়ে দু’জনের ঝামেলা হত। রবিবার সকালে চিৎকার শুনে রান্নাঘরে গিয়ে অর্পিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী গোকুল মণ্ডল বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে অন্য পুরুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বধূর। মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত দু’জনের। প্রতিবেশীরা বুঝিয়েসুঝিয়ে মিটিয়েছিলেন। রবিবার সকালে প্রসেনজিৎ বিশ্বাস কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন স্ত্রীকে।’’