শনিবার সকালে শশধর হালদার ও পায়েল হালদার নামে ওই দম্পতির দেহ মেলে। —প্রতীকী চিত্র।
শহরে থাকতে না পেরে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে চাইছিলেন স্বামী। রাজি হননি স্ত্রী। তা নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন স্বামী। সোনারপুরের ভবানীপুরের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। শনিবার সকালে শশধর হালদার ও পায়েল হালদার নামে ওই দম্পতির দেহ মেলে। পায়েলের গলা কাটা ছিল। অন্য দিকে, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় শশধরের ঝুলন্ত দেহ। ভবানীপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। ওই দিন শশধর ও পায়েলের আড়াই বছরের ছেলের কান্না শুনে প্রতিবেশীরা এসে দু’জনের দেহ দেখতে পান।
পুলিশ জানিয়েছে, শশধরের বাড়ি কুলপির নিশ্চিন্তপুর এলাকায়। তিনি ট্রেনে হকারি করতেন। পায়েলও ওই এলাকার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এর পরে সোনারপুরের ভবানীপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে উঠে আসেন দম্পতি। সেখান থেকেই ট্রেনে হকারি করতে বেরোতেন শশধর। সম্প্রতি নিশ্চিন্তপুরের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। আর্থিক কারণ-সহ নানা কারণে আর ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতে চাইছিলেন না শশধর। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই সিদ্ধান্তে রাজি হননি পায়েল। তিনি সোনারপুর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে চাননি। এই নিয়েই কিছু দিন ধরে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। সম্প্রতি শশধর জোর করায় পায়েল সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে এসে একা থাকার কথাও বলেন। এ-ও জানান, পরিচারিকার কাজ করে নিজের খরচ চালাবেন। তা নিয়েই অশান্তি চরমে ওঠে। এর পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন শশধর।
পুলিশ জানিয়েছে, মা-বাবার মৃত্যুর পরে শিশুটি আপাতত তার মাসির দায়িত্বে আছে। ময়না তদন্তের পরে রবিবার পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। ঘটনার পিছনে আর কোনও কারণ আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।