সন্দেশখালিতে ভস্মীভূত দোকানঘর। —নিজস্ব চিত্র।
ফের অশান্তির আগুন সন্দেশখালিতে। রবিবার সকালে সেখানকার ভান্ডারখালি এলাকার হাটগাছিতে চারটি দোকানে আগুন লাগে। পুরো ভস্মীভূত হয়ে যায় চারটি দোকানই। এগুলির মধ্যে দু’টি তৃণমূল কর্মীর এবং বাকি দু’টি বিজেপি কর্মীর দোকান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ইচ্ছাকৃত আগুন লাগানো হয়েছে বলে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে দুই দল। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।
আবার আগুন সন্দেশখালির হাটগাছিতে বিজেপি কর্মী-সহ তৃণমূল কর্মীর দোকানে আগুন। পরপর চারটি দোকানে আগুন লাগে। এর মধ্যে দু’টি দোকান বিজেপি কর্মীর অপর দু’টি তৃণমূল কর্মীর ।
রবিবার ভোরে ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল-সহ দু’জন বিজেপি কর্মী এবং রণজিৎ মণ্ডল-সহ দু’জন তৃণমূল কর্মীর দোকানঘরে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকের দাবি, তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর দোকান ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। অন্য দিকে, পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন রণজিৎ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তবে কী ভাবে আগুন ধরেছে, ইচ্ছাকৃত ভাবেে কেউ ধরিয়ে দিয়েছেন কি না, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে ইন্দ্রজিত বলেন, “২০২১ সাল থেকে দোকান বন্ধ ছিল। বিজেপি করি বলে তৃণমূল দোকান খুলতে বাধা দিত। এ বার ওদের লোকেরাই দোকানটা পুড়িয়ে দিল। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।” তৃণমূল কর্মী রণজিৎ বলেন, “সকালে ঘুমিয়েছিলাম। খবর পেলাম দোকানে আগুন ধরেছে। এসে দেখলাম সব শেষ। প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।” তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সত্যজ্যোতি সান্যালের কথায়, “এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে। প্রশাসনকে বলব উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে।”