ED

ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে নোটিস ইডির, ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

- ইডির অভিযোগ, নিয়োগ মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে ২০১৬ সালে গ্রুপ সি এবং ডি পদে ১৬ জনের নিয়োগ হয় ডায়মন্ড হার বার পুরসভায়। সেই সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ১৪:১৭
ED sent notices to Diamond Harbour Municipality over appointment of group c and d workers

ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। —নিজস্ব চিত্র।

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি। অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল সংশ্লিষ্ট পুরসভায়। সেই নিয়োগে অনিয়ম হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইডি। যদিও ডায়মন্ড হারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর মীরা হালদার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, নিয়মমাফিক ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণব দাসও একই দাবি করেছেন। তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ইডির তরফে যে সব প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হয়েছিল, তা পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত চলাকালীন পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের গ্রেফতারির পর তদন্তকারীরা আদালতে দাবি করেন, অয়নের থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। সেখান থেকেই উঠে এসেছে রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে। এর পর কিছু দিন আগে এক সঙ্গে প্রায় ১৪টি পুরসভায় অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই।

বস্তুত, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। যদিও তা খারিজ করে আগের নির্দেশই বহাল রেখেছেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। এর পর ওই মামলায় ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় রাজ্য। যদিও হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এখন ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় গ্রুপ সি ও ডি পদে ১৬ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করছে ইডি। ২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূলের মীরা হালদার। তাঁর দাবি, সব কিছু নিয়ম মেনে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-২০১৭ সালের মধ্যে ওই নিয়োগ হয়েছে। তারিখটা সঠিক বলতে পারব না। তবে নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। বোর্ড অফ কাউন্সিল বৈঠক করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর একটি এজেন্সির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়।’’ পাশাপাশি, অয়নের সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে মীরা বলেন, ‘‘টেন্ডারের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাতে অয়ন শীল বলে কে আছেন কিংবা না আছেন, তা জানা সম্ভব ছিল না।’’ মীরার সংযোজন, ‘‘সঠিক ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল সম্ভবত ১৬ জনকে। তবে এক জন জয়েন করেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement