Chandrima Bhattacharya

সিএএ নিয়ে কটাক্ষ করলেন চন্দ্রিমা

বুধবার বিকেলে বাগদার সিন্দ্রাণীতে এসেছিলেন চন্দ্রিমা। সেখানে বলেন, ‘‘১৩-১৪ জনকে কী একটা শংসাপত্র দিলেন। এটা কিসের মেডেল? সোনা না রুপো দিয়ে মোড়া মেডেল?’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগদা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৫
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।

মতুয়া অধ্যুষিত বাগদা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের প্রচারে এসে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন (সিএএ) নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘শংসাপত্র (সিএএ) কি সোনা-রুপোয় মোড়া মেডেল নাকি!’’

Advertisement

বুধবার বিকেলে বাগদার সিন্দ্রাণীতে এসেছিলেন চন্দ্রিমা। সেখানে বলেন, ‘‘১৩-১৪ জনকে কী একটা শংসাপত্র দিলেন। এটা কিসের মেডেল? সোনা না রুপো দিয়ে মোড়া মেডেল?’’ এ প্রসঙ্গেই তৃণমূলের অবস্থান মোতাবেক ফের বলেন, ‘‘যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক। তাঁদের আবার নাগরিকত্ব শংসাপত্র দেওয়া হল!’’

লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র সিএএ-র বিধি কার্যকর করেছিল। ভোট চলাকালীন কিছু মানুষকে নাগরিকত্বের শংসাপত্রও দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার কয়েক জন মতুয়া উদ্বাস্তু সমাজের মানুষ ছিলেন। রাজ্যে বিজেপির ফল খারাপ হলেও মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করেছে। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে সাতটি বিধানসভা আছে, তার মধ্যে বাগদায় সব থেকে বেশি মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষের বসবাস। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, লোকসভা ভোটে এখানে নাগরিকত্বের বিষয়টি প্রভাব ফেলেছিল।

চন্দ্রিমার কটাক্ষের জবাবে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল চায় না, মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষ এ দেশের নাগরিকত্ব পান। অধিকার নিয়ে বাঁচেন। কেন্দ্র মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষকে নাগরিকত্ব দেবে।’’

সিন্দ্রাণী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহু বছর হল রোগী ভর্তি বন্ধ। এখন সপ্তাহে তিন-চার দিন চিকিৎসক এসে কয়েক ঘণ্টার জন্য রোগী দেখেন। এলাকাবাসীর দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হাসপাতাল হিসেবে চালু করুক রাজ্য সরকার। বাসিন্দারা এ দিন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে হাসপাতাল চালুর দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁরা জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন তৈরি হয়েও পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।

চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘এখন বাগদায় নির্বাচন বিধি চলছে। ফলে এ বিষয়ে আমি কোনও কথা দিতে পারছি না। তবে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনব।’’ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে গিয়েছেন, ভোটের পরে হাসপাতাল চালুর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে দেবদাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল ১৩ বছরে হাসপাতাল করেনি। সিন্দ্রাণীর মানুষকে ভাঁওতা দিয়ে লাভ নেই।’’

আরও পড়ুন
Advertisement