TMC workers

আবার উত্তপ্ত বারুইপুর, তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে বাড়ি ভাঙচুর, আগুন

শনিবার বারুইপুরে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী পেশায় গাড়িচালক সইদুল আলি শেখ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্তরা অধরা বলে দাবি স্থানীয়দের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বারুইপুর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:২৪
Screen Grab

মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে ভাঙচুর স্থানীয়দের একাংশের। — নিজস্ব চিত্র।

গত শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বলবনে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সইদুল আলি শেখকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম শেখ এবং আজিজুল শেখ। এখনও তাঁরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তদের কয়েক জনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দু’টি ভ্যান ভেঙে পুকুরে ফেলে দেন উত্তেজিত বাসিন্দারা। এর ফলে বলবনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত আজিজুল এবং সাদ্দাম।

Advertisement

শনিবার রাতে পেশায় গাড়িচালক সইদুলকে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় সইদুলকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় বারুইপুর হাসপাতালে। চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও শনিবার রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকায় সইদুল এক জন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, তাঁর মধ্যে সাংগঠনিক গুণ ছিল। মূলত তাঁর প্রচেষ্টাতেই গত পঞ্চায়েতে সিপিএম এবং বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে হেলায় হারিয়ে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী। সেই সইদুলের মৃত্যুর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণও থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, জমিজমা নিয়েও দীর্ঘ দিন ধরে সইদুলের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল এলাকার কয়েক জনের। তার জেরেও খুন করা হতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। পরিবারের সদস্যের দাবি, সইদুলকে ‘হিংসা’ করতেন এলাকার কয়েক জন। তার জেরে হামলা কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement