Anganwadi Center

বাঁশবাগানে ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁশবাগানে ঝোপ-জঙ্গলও রয়েছে। পোকামাকড়ের উপদ্রব লেগেই রয়েছে। পাশেই পরিত্যক্ত ডোবা থাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে।

Advertisement
সামসুল হুদা
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৩৩
ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া এলাকায় খোলা আকাশের নিচে বাঁশ বাগানের মধ্যে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।

ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া এলাকায় খোলা আকাশের নিচে বাঁশ বাগানের মধ্যে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব ভবন নেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাঁশবাগানে ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি ২ পঞ্চায়েতের ১০০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। সেখানেই হচ্ছে রান্না-বান্না, শিশুদের পঠনপাঠন। কেন্দ্রের এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁশবাগানে ঝোপ-জঙ্গলও রয়েছে। পোকামাকড়ের উপদ্রব লেগেই রয়েছে। পাশেই পরিত্যক্ত ডোবা থাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের মধ্যে মোকসেদ মোল্লা ও তানজিরা বিবি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।”

বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিশু বিকাশ প্রকাশ আধিকারিককে (সিডিপিও) বলব রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল ওদুত জানান, তাঁরা ঠিক করেছেন, আপাতত পাশের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি স্থানান্তরিত করা হবে। সেখানেই সকালে অঙ্গনওয়াড়ি এবং বেলায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি চলবে।

ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা বলেন, “বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি জমি পেতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর করা যাচ্ছে না। ওই এলাকায় কোনও সহৃদয় ব্যক্তি জমি দান করলে সেখানে আমরা অঙ্গনওয়াড়ির জন্য ঘর করে দিতে পারি।”

বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অবনী মণ্ডলের টিপ্পনী, ‘‘ভাঙড়ে যেখানে শাসক দলের মদতে সরকারি জমি, জলাভূমি রাতারাতি ভরাট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, সেখানে অঙ্গনওয়াড়ির জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না? আসলে এখানে শাসক দলের নেতাদের কোনও মুনাফা নেই। তাই এ ব্যাপারে তাঁদের হেলদোল নেই।”

Advertisement
আরও পড়ুন