খড়দহে স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগে ধৃত স্বামী। — প্রতীকী চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগে সোমবার সকালে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অরিন্দম ঘোষ। বাড়ি বেলঘরিয়ায়। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আলাদা থাকেন। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁদের। দম্পতির কন্যা মায়ের সঙ্গেই থাকেন। রবিবার সকালে কন্যার সঙ্গে দেখা করতে খড়দহে স্ত্রীর বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন অরিন্দম। অভিযোগ, স্ত্রীর বাপের বাড়ির সদস্যেরা অরিন্দমকে সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দেননি। এর পরেই শুরু হয় দু’পক্ষের বচসা। বাগ্বিতণ্ডা আরও বৃদ্ধি পেলে অরিন্দম স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ।
খড়দহের বাসিন্দা চুমকি দাসের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয়েছিল বেলঘরিয়ার অরিন্দমের। বৈবাহিক জীবনের শুরুর দিকটা ঠিকঠাকই ছিল। দম্পতির এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পরে সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে দু’জনে আর আলাদা থাকতে শুরু করেন। স্ত্রীর বাপের বাড়ির দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অরিন্দম। সেই কারণেই উভয়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সোমবার সকালে খড়দহে গোলমালের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান অরিন্দমের বান্ধবী। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই মহিলার সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ফলে অরিন্দমের বান্ধবী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁকে ঘিরে ধরেন এলাকার অন্য মহিলারা। কথা কাটাকাটি, বাদানুবাদও চলে দু’পক্ষের।
যদিও অরিন্দমের ওই বান্ধবীর দাবি, কন্যার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। প্রতি সপ্তাহে অরিন্দম মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, এই মর্মে আদালতের নির্দেশ রয়েছে বলে দাবি তাঁর বান্ধবীর। আদালতের নথি থানাতেও জমা দেওয়া রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে অরিন্দম তাঁর সঙ্গে কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ওই বান্ধবীর দাবি, তিনি আগে অরিন্দমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এখন ওই বাড়ি তিনি কিনে নিয়েছেন। সোমবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে রহড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মারধরে অভিযুক্ত অরিন্দমকে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।